• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মানিকগঞ্জে মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০১৯  

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার এ অভিযান শুরু হয়। তবে উচ্ছেদ হওয়া স্থাপনার মালিক ও ব্যবসায়ীরা বলেছেন, কোনো নোটিস না দিয়ে অভিযান শুরু করেছে সওজ। 

জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে সওজের ঢাকা জোনের এস্টেট অ্যান্ড ল’ অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান ফারুকীর নেতৃত্বে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। এ সময় মানিকগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এমদাদ হোসেন, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুর রহিম, উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান, শাহানুর রশিদসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সওজের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে মহাসড়কের বানিয়াজুরী, মহাদেবপুর, বরঙ্গাইল, তরা, টেপরা, উথলী, পাটুরিয়া ফেরিঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় দুই হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে দুই ধাপে মহাসড়কের দুই অংশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ শুরু হয়েছে।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে মহাসড়কের গোলড়া থেকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। উচ্ছেদ অভিযানে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুরনো মুক্তিযোদ্ধা দোতলা ও এক তলা মার্কেটের ৮৩টি দোকান, মানিকগঞ্জ পৌরসভার নির্মাণাধীন পৌর হকার্স মার্কেটের ২২৮টি দোকান, কাঁচা ও পাকা মালের আড়তের দুই শতাধিক টিনশেড দোকান, ফলের দোকান, জেলা পরিষদের নির্মাণাধীন যাত্রীছাউনিনবীন মার্কেটের দোকানপাটট্রাফিক পুলিশ অফিসের আশপাশের অবৈধ স্থাপনাসহ প্রায় ৮০০টি দোকানপাট ভেঙে দেয়া হয়েছে। অবৈধভাবে স্থাপিত একটি রেন্ট-এ কার স্ট্যান্ডও উচ্ছেদ করা হয়েছে।

এদিকে উচ্ছেদ অভিযানের আগে সওজের পক্ষ থেকে কোনো নোটিস দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম ও ব্যবসায়ীরা। মেয়র বলেন, জায়গাটি সওজের হলেও পৌরসভা লিজ নিয়ে টিনশেড ও সেমিপাকা মার্কেট নির্মাণ করেছে। আমাদের না জানিয়ে হঠাৎ করেই উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমরা বারবার অনুরোধ করেছি, আমাদের কয়েক দিনের সময় দিন। কিন্তু ১ মিনিটও সময় দেয়া হয়নি। এটা চরম অন্যায়।

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এমদাদ হোসেন বলেনউচ্ছেদের বিষয়ে অনেক দিন আগে থেকেই একাধিকবার নোটিস দেয়া হয়েছে। এছাড়া গণবিজ্ঞপ্তি প্রচারসহ এক সপ্তাহ ধরে মাইকিং করা হয়েছে।