• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জমি লিখে নিয়ে বৃদ্ধাকে বের করে দিলেন ছেলে

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০১৯  

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার উথুরী গ্রাামে হাজেরা বেগম নামে এক বৃদ্ধাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন তার ছেলে। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য কালা মিয়া ও প্রতিবেশীরা হাজেরা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।

শনিবার ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় ছেলেদের বিচার চেয়ে গফরগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। পুলিশ রোববার বিকেলে হাজেরা বেগমের ছেলে আব্দুস সাত্তার ও সাত্তারের ছেলে তোফাজ্জলকে আটক করেছেন।

গফরগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান জানান, উপজেলার উথুরী গ্রামের রেসমত আলীর স্ত্রী হাজেরা বেগমের তিন ছেলে-সাইফুল ইসলাম, সোহরাব উদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার। প্রায় ১৬ বছর পূর্বে স্বামী মারা যাওয়ার সময় হাজেরা বেগমের নামে ১২কাঠা জমি লিখে দেয়। স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলেরা হাজেরা বেগমকে কিছুদিন ভরণ-পোষণ করে। একর্পযায়ে ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম জোরপূর্বক মা হাজেরা বেগমের কাছ থেকে ১২কাঠা জমি নিজের নামে লিখে নেন। এ খবর পাওয়ার পর অন্য ছেলেরা মায়ের ভরণ পোষণ ও খোঁজ খবর নেওয়া বন্ধ করে দেয়।

ওসি জানান, এ অবস্থায় হাজেরা বেগম ছোট ছেলে সাইফুলের সংসারে খাওয়া দাওয়া করতেন। কিন্তু সাইফুলের সংসারে দিন দিন হাজেরা বেগমের আদর কমতে থাকে। এমনকি সাইফুল মাকে ভাত কাপড়েও কষ্ট দিতে থাকেন। তিন বেলার মধ্যে কখনো এক বেলা খাবার দেন, কখনো এক বেলাও হাজেরা বেগমকে খাবার দেয়া হতো না। উল্টো মাকে মারধর অত্যাচার করতো সাইফুল। এভাবে একাধিকবার বিচার শালিসও হয়েছে। কিন্তু জমি লিখে নেয়ায় বিচার শালিসে সাইফুলকেই হাজেরা বেগমের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব দেয়া হয়। সাইফুল কোনো বিচার শালিস না মেনে বৃহস্পতিবার সকালে মা হাজেরা বেগমকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। টানা তিনদিন হাজেরা বেগম না খেয়ে রাস্তার পাশে খোলা আকাশের নিচে পড়ে ছিলেন। এতে হাজেরা বেগম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস ছোবাহান কালা মিয়া প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

তিনি আরো জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি হাসপাতালে গিয়ে হাজেরা বেগমের খোঁজ নিয়েছি। এ ঘটনায় হাজেরা বেগমের ছেলেসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।