• বুধবার ২২ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

  • || ১৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বিএনপিকে রাজনীতি থেকে ‘মাইনাস’ করার আহ্বান ইনুর

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০১৯  

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে:

 বিএনপির মতো একটি সাম্প্রদায়িক জঙ্গির দোসর রাজনৈতিক দলকে ক্রেন দিয়ে তুলে বিরোধী দলে বসানো দেশের গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলজনক নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাসদেরসভাপতি হাসানুল হক ইনু। এই দলটিকে তিনি রাজনীতি থেকে মাইনাস করারও আহ্বান জানান।

সোমবার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

ইনু বলেন, আজ দেশে অর্থনীতির সমৃদ্ধির জন্য রাজনৈতিক শান্তি দরকার। শেখ হাসিনা সরকারকে অনেক মূল্য দিয়ে সেই শান্তি অর্জন করতে হয়েছে। তাই অশান্তির হোতাদের কোনো ছাড় নেই। তাদের দমন করতেই হবে। আগুন সন্ত্রাস, জঙ্গি, অন্তর্ঘাত, খুনি, যুদ্ধাপরাধী ও দুর্নীতির বিচার প্রতিহিংসা না। এসব ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া উচিত না। 

বর্তমানে রাজনীতির স্পেস নেই বলে কথা বলা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে ইনু বলেন, শান্তির শত্রুদের জন্য কোনো রাজনৈতিক স্পেস দেওয়া যায় না। গণতন্ত্রের সুযোগ নিয়ে যারা গণতন্ত্রের পিঠে ছোঁবল মারে তাদের জন্য মায়াকান্না গণতন্ত্রকেই ধ্বংস করে। বিএনপি হচ্ছে সেই দল যে দলে খুনি, জঙ্গি, সাম্প্রদায়িক চক্রমহলের রাজনৈতিক ছায়া, একটি সাম্প্রদায়িক দল। 

বিএনপির বিষয়ে জাসদ সভাপতি বলেন, দলটি এখনো যুদ্ধাপরাধের বিচার মানে না, বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা মানে না, সংবিধানের চারনীতি মানে না, স্বাধীনতার ঘোষণা মানে না। বিএনপি সংবিধান এবং দেশবিরোধী রাজনৈতিক দল। এ ধরনের রাজনৈতিক শক্তিকে ক্রেন দিয়ে তুলে বিরোধী দলে বসানো দেশের এবং গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলজনক নয়। অর্থনীতির ধারা অব্যাহত রাখতে হলে বিএনপির মতো সাম্প্রদায়িক জঙ্গির দোসর রাজনৈতিক দলকে বাংলাদেশের রাজনীতির ময়দান থেকে মাইনাস করতে হবে।
 
ইনু আরও বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। এই খাতকে ঢেলে সাজাতে হবে। স্বাস্থ্যখাতকেও ঢেলে সাজাতে হবে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা এই দুই খাতে বরাদ্দ অত্যন্ত কম। বাজেটে কিছু দুর্বল ও নেতিবাচক দিক রয়েছে। সিমকার্ডের উপর নতুন কর ও স্মার্টফোনের উপর উচ্চকর আরোপ ডিজিটালাইজেশনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সঞ্চয়পত্রে উৎসে কর ১০ ভাগের পরিবর্তে ৫ ভাগ করা হোক। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ এটা খালেদা জিয়া ও ড. কামাল হোসেন ছাড়া আর কেউ নেয়নি। আমি অর্থমন্ত্রীকে বলবো কালো টাকা সাদা করার সুযোগ যারা নিয়েছে তাদের তালিকা প্রকাশ করা হোক। কালো টাকা সাদা করার এই সুযোগ প্রত্যাহার করা উচিত। 

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা আনার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, এজন্য ব্যাংক আইন সংস্কার করতে হবে। ব্যাংকখাতের বিষফোঁড়া সার্জারিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সক্ষমতা রয়েছে। যতদিন আইন না হয় ততদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কাজ করতে দেওয়া উচিত।