• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দুই সড়কে ভোগান্তির শেষ নেই

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০১৯  

ঝালকাঠির নলছিটি পৌর শহরে প্রবেশের দুটি ব্যস্ততম সড়কের ১৪ কিলোমিটার পথ দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা।

বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের দপদপিয়া ফেরিঘাট থেকে নলছিটি পৌরসভা পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার পথ খানাখন্দ ও গর্তের কারণে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। অন্যদিকে ঝালকাঠি শহর থেকে নলছিটি প্রবেশের বাড়ইকরণ খেয়াঘাট হয়ে নলছিটি পৌর শহর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার পথের একই অবস্থা। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে সড়ক দুটিতে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

১৮৬৫ সালে গঠিত নলছিটি পৌর এলাকায় প্রবেশের একমাত্র পথ ছিল ঝালকাঠি-বরিশালের আঞ্চলিক সড়কের ষাটপাকিয়া ফেরিঘাট। দশটি ইউপি নিয়ে প্রায় ২ লাখ ১৪ হাজার মানুষের বসাবাস নলছিটি উপজেলায়। উপজেলাটিতে প্রবেশের পথ সহজ করতে সরকার ২০০২ সালে উদ্যোগ নেয়।

এ সময় সড়ক ও জনপদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে দপদপিয়া-মোল্লারহাট-নলছিটি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত করে পিচ ঢালাই করে পাকা করা হয়। পরে দপদপিয়া ফেরিঘাট হয়ে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের সঙ্গে আরো তিন কিলোমিটার সড়ক যোগ হয়ে সরাসরি নলছিটি-বরিশাল বাস চলাচল শুরু হয়।

অন্যদিকে ২০০২ সালের একই সময় ঝালকাঠি পুরাতন কলেজ খেয়াঘাটের ওপার বাড়ইকরণ ঘাট থেকে নলছিটি শহর পর্যন্ত সাত কিলোমিটার পথ প্রশস্ত করে পিচ ঢালাই করে পাকা করা হয়। পরবর্তীতে সড়ক দুটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগে দেয়া হয়। কিন্তু সে সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে সংস্কারের কাজ করায় বিগত পাঁচ বছরে সড়ক দুটির পিচ-খোয়া উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। সড়ক দুটি দিয়ে প্রতিদিন বিভাগীয় শহর বরিশাল ও জেলা শহর ঝালকাঠিতে বিভিন্ন কাজে প্রায় ২০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে।

নলছিটি খাসমহল এলাকার ব্যবসায়ী শাহাদাত্ আলম বলেন, প্রতি সপ্তাহে নলছিটিতে চালবোঝাই অন্তত ২০টি ট্রাক ঢুকে। দপদপিয়া সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় বাড়তি টাকা দিয়ে বিকল্প পথে মালামাল আনতে হয়।

দপদপিয়া-মোল্লারহাট-নলছিটি সড়কের বাসচালক মহসিন মিয়া বলেন, সড়ক বেহালের কারণে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে বাস চলাতে হচ্ছে। পাশাপাশি দুটি বাস অতিক্রম করতে গেলে দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে।

নলছিটি থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল হালিম জানান, বাড়ৈকরণ সড়কটি খারাপ থাকায় ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ সদস্যদের আসামি নিয়ে জেলা জজ আদালতে যেতে হয়।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ হেল বাকি চৌধুরী বলেন, এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে খানাখন্দের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে দপদপিয়া মোল্লার হাট সড়ক নির্মাণ কাজ শিগগিরই শুরু হবে।