• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বামীকে ফিরে পেতে সন্তান নিয়ে স্ত্রীর অনশন

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০১৯  

সন্তানকে সড়কে শুইয়ে রেখে সারারাত বসে কাটিয়েছেন স্বামীর বাড়ির সামনে। এ অবস্থা চলছে গত দুই দিন ধরে। স্বামীকে ফিরে পেতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় রেবিনা বেগম নামে এক নারী এভাবেই অনশন করে যাচ্ছেন।

ওই নারীর হুমকি, সমাধান না পেলে সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যা করবেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বামীর বাড়িতে গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেন। এরপর থেকে সন্তানকে নিয়ে অনশন শুরু করেন ওই নারী।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের তরিফ উদ্দিনের ছেলে এমদাদুল ইসলামের সঙ্গে একই উপজেলার বড়খাতা ইউপির পূর্ব সারডুবী গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে রেবিনা বেগমের ২০০৬ সালে ৮০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ভালোই চলছিল তাদের সংসার। এর মাঝেই দুই সন্তানের মা হন রেবিনা বেগম।

কিন্তু এমদাদুল ইসলাম ব্যবসার কথা বলে স্ত্রীকে আবারো যৌতুকে টাকার জন্য চাপ দেন। রেবিনা বেগমের বাবা গরিব হওয়ায় টাকা দিতে না পারায় নির্যাতন শুরু করেন এমদাদুল। স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিশ হলেও কাজে আসেনি। রেবিনা স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে বাবা বাড়ি এসে আদালতে মামলা করেন।

এর মধ্যে আদালতে মামলা চলাকলীন এমদাদুল ইসলাম নীলফামারী জেলার চাপানী এলাকার নাজলী নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। এ খবর শুনে রেবিনা বেগম সন্তান রাহুলকে (৭) নিয়ে স্বামীর বাড়ি সামনে অনশন শুরু করেন।

রেবিনা বেগম বলেন, স্বামীর বাড়িতে আসলে আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। আমি আমার স্বামীর অধিকার নিয়ে এসেছি। আমার স্বামীকে ডিভোর্স দিইনি, তাই আমার অধিকার আছে। আমার স্বামীকে ফিরে পেতে চাই। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হতেই পারে। তাই বলে আমার অনুমতি না নিয়ে অন্য জায়গায় বিয়ে করতে পারে না। তাই আমি সন্তানকে নিয়ে সড়কে বসে থাকব। সমাধান না পেলে সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যা করব।

এমদাদুলের মা আলেকজন নেছা বলেন, আমরা কেউ তাকে মারধর করিনি। ওই বউ মামলা করেছে তাই তাকে ঘরে উঠাব না। ওই বউ নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছে তাই ছেলেকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়েছি।

তবে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি এমদাদুল ইসলাম।

হাতীবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক জানান, মেয়ে পক্ষের কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।