• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

মৃত্যুর সময় আবরারকে এক গ্লাস পানিও দেয়নি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯  

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে রুমে নিয়েই পেটাতে শুরু করেন ছাত্রলীগ নেতারা। মার খেতে খেতে একপর্যায়ে আবরার অত্যন্ত দুর্বল হয়ে গেলে তাদের কাছে এক গ্লাস পানির আবদার করেন। কিন্তু তারা তাকে পানি দেয়নি। এমনটি আবরারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও তাকে হাসপাতালে নিতে বাধা দেয়া হয়।

বুধবার দুপুরে আদালতে এসব তথ্য দেন এজাহারভুক্ত আসামি ছাত্রলীগ নেতা এএসএম নাজমুস সাদাত।

সাদাত জানান, আমি আবরারকে ডেকে নিয়ে আসি। কয়েকজন বড়ভাই আমাদের ডেকে আনতে বলেন। আবরার পানি চেয়েছিল। কিন্তু ওরা তাকে পানি দেয়নি। তাকে হাসপাতালেও নিয়ে যেতে দেয়া হয়নি।

এদিন ভারতে পালানোর সময় গ্রেফতার  সাদাতকে আদালতে হাজির করা হয়। ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে সাদাতের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালত।

শুনানিতে তিনি বলেন, এ মামলায় ছয় আসামি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই ছয় জনই এ আসামির নাম বলেছে। আসামিরা আবরারকে মুখে কাপড় দিয়ে মেরেছে। পানি পর্যন্ত খেতে দেয়নি। সঠিক সময়ে ডাক্তারও দেখাতে দেয়নি। এমনকি পুলিশও ঢুকতে দেয়নি আসামিরা। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির সর্বোচ্চ রিমান্ড মঞ্জুর করা হোক।

আদালতে আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী না থাকায় বিচারক সাদাতের কাছে তার কিছু বলার আছে কিনা তা জানতে চান। জবাবে সাদাত আদালতকে বলেন, আমি আবরারকে মারিনি। আমি বড় ভাইদের কথায় আবরারকে তার রুম থেকে ডেকে নিয়ে আসি।

বিচারক আসামির কাছে জানতে চান, ‘বড়ভাই’ কারা? জবাবে সাদাত বলেন, অনিক, সকাল, মুজাহিদ, রবিন ও মনির। ওরাই আবরারকে মেরেছে। আমি রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেখান থেকে চলে আসি। এরপর কী হয়েছে তা আমি জানি না।

আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলার ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। গত ৬ অক্টোবর একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। রাত ৩টার দিকে হল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর তার বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।