• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

‘গলি বয়’ খ্যাত রানা-তবীবকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৯  

বছর দশেকের এক কিশোর রানা। সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা মানুষের কাছে সে এখন ‘গলি বয়’ নামেই বেশি পরিচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তবীব মাহমুদের লেখা গান গেয়ে দেশ-বিদেশের জনপ্রিয় এখন এই ক্ষুদে তারকা।

এবার এই জুটি জয় করলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হৃদয়। তাদের প্রতিভার মূল্যায়নে উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী দিচ্ছেন অত্যাধুনিক ভিডিও ক্যামেরা। শুধু তাই নয়, রানার পড়াশোনার খরচও বহন করবে সরকার।

আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমনটাই জানিয়েছেন। ‘ডিজিটাল ডিভাইস ও ইনোভেশন এক্সপো’তে এ তথ্য জানান তিনি।

গত ১৬ অক্টোবর ‘ডিজিটাল ডিভাইস ও ইনোভেশন এক্সপো’তে প্রথমবারের মতো কনসার্টে অংশ নেন বাংলা হিপহপ গানের নতুন এ জুটি।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ওদের প্রথম গানটি দেখে আমি তবীবকে প্রশ্ন করি, এটি সাদাকালো কেন? ওর উত্তর ছিল, তার কাছে যে ক্যামেরা ছিল এর রেজ্যুলেশন এতটাই কম যে, ভিডিওটির কোয়ালিটি খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তাই সাদাকালো করে দিতে হয়েছে। তবে আমি বলব, এরপর থেকে তাদের গানের কোয়ালিটি আরো ভালো হবে। অল্প দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমরা একটি অত্যাধুনিক ক্যামেরা রানা ও তবীবকে উপহার দেব।

তিনি আরো বলেন, আমি নিশ্চিত করে বলতে চাই, রানার মতো আর কোনো পথশিশু পথে যেন না থাকে, এজন্য প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে রানার পড়াশোনার সব খরচ আমরা বহন করব। ওর যা লাগে, সবকিছু দেখব।

‘গলি বয়’ রানার উত্থান যেন রূপকথার রাজকুমারের মতোই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঘুরে বেড়ানো আর দশটা পথশিশুর মতোই ছিল রানার জীবন। বসবাস ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায়। 

ক্যাম্পাস এলাকাতেই সারাদিন ঘুরে বেড়াতে দেখা যেতো তাকে। ছোট্ট এই শিশুটি দারুণ র‌্যাপ গান গায়। ক্যাম্পাসে ঘুরে ঘুরে গান শোনানোর বিনিময়ে ২-৫ টাকা চেয়ে নেয় মানুষের কাছ থেকে। এটাই ছিল রানার পরিচিতি।

একদিন রানার সঙ্গে পরিচয় হয় ঢাবি শিক্ষার্থী তবীবের। রানার গলায় র‌্যাপ গান শুনে কাজে নেমে পড়েন তিনি। বাকিটা সবারই জানা।

রানাকে নিয়ে প্রথম গান ‘গলি বয়’ প্রকাশ করেন মাহমুদ হাসান তবীব। এই জুটি এরপর আনে ‘গলি বয় পার্ট-টু’ ও ‘পার্ট-থ্রি’। এবার সর্বশেষ এসেছে তাদের নতুন গান ‘হিপহপ পুলিশ’।