• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

শীতের জানান দিচ্ছে পিঠা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০১৯  

শীত মানেই পিঠা খাওয়ার উৎসব। শীতের পিঠা গ্রামীণ ঐতিহ্য। তবে শীতে গ্রামের পাশাপাশি শহরেও পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। শীতকে কেন্দ্র করে শহর ও গ্রামের সড়ক ও হাট-বাজারে বিকেলে ভাপা আর চিতই পিঠাসহ নানা রকমের পিঠা তৈরি করে বিক্রি করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সড়ক ও হাট-বাজারে এমনি চিত্র দেখা গেছে।  শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরের ফুটপাতে, অলিগলিতে শীত পিঠার ব্যবসা জমে উঠেছে। এসব দোকানে বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষরা পিঠা তৈরি করে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন। তবে পিঠা খেতে সন্ধ্যার পর ক্রেতাদের সমাগম বেড়ে যায়। সবাই মজা করে শীত পিঠার স্বাদ উপভোগ করে। পিঠার দামও রয়েছে সাধ্যের মধ্যে। 

পৌর শহরের সড়ক বাজার, লাল বাজার, বড় বাজার, রেলস্টেশন চত্বর, খড়মপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অনেক নারী পুরুষ ভাপা আর চিতই পিঠাসহ নানা প্রকার শীতের পিঠা তৈরি করছেন। তবে কোথাও সকাল-সন্ধ্যা দুইবেলাই পিঠা বিক্রি চলছে। পিঠার মান ভাল থাকায় তাদের কদর ও রয়েছে। 

এদিকে ব্যস্ত সময় পর করছেন পিঠা বিক্রেতারা বাজার থেকে চাল কিনে মেশিনে আটা তৈরি করা, জ্বালানি, শুটকি ও সরিষা বাটার ব্যবস্থা। 

দোকানিরা জানায়, পিঠার চাহিদা এখানে ভাল রয়েছে। পুরো শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি চলবে। 

সড়ক বাজারের পিঠা বিক্রেতা আবুল হাশেম জানান, প্রতি বছরের মতো এবারো বিকেলে পিঠা বিক্রি শুরু করেছেন। প্রতিদিন ২০ কেজি চালের আটার পিঠা তৈরি হয়। চিতইয়ের সঙ্গে থাকছে কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা, নারিকেল গুড়। সেই সঙ্গে শুটকি ভর্তা ও সরিষা বাটা। প্রতি পিঠা ৫ টাকা করে বিক্রি করা হয় বলে জানায়। যাবতীয় খরচ বাদে প্রতিদিন ৬০০ টাকার বেশি আয় হয়।

তিনি আরো জানান, এখানে রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী শ্রমিকসহ নানা শ্রেণী পেশার লোকজন পিঠা নিতে আসেন। 

বিক্রেতা মরিয়ম বেগম জানান, তিনি প্রতি শীতেই পিঠা বিক্রি করেন। বিকেল থেকে রাত ৯টা পযর্ন্ত তার বিক্রি চলে। খরচ বাদে প্রতিদিন ৪০০টাকার বেশি আয় হয়। 

এদিকে ভাপা পিঠা খেতে আসা ব্যবসায়ী মো. আলাউদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যায় তারা এখান থেকে শীতের পিঠা খান। এমনকি সময় স্বল্পতার জন্য অতিথি আপ্যায়নও চলে এই পিঠা দিয়েই।