• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পুলিশ পরিচয়ে ইয়াবা ব্যবসা, অবশেষে ধরা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২০  

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার আনাচে-কানাছে ইয়াবা ব্যবসা করে বেড়াতো সে। নিজেকে পরিচয় দিতেন পুলিশের কনস্টেবল। পুলিশ পরিচয়ের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ইয়াবা বিক্রি করে আসছিলেন তিনি। তাকে এ কাজে সহযোগিতার জন্য তার নেতৃত্বে স্থানীয়ভাবে একটি টিমও সে তৈরি করেছিল। যাদের কাজ ছিল ইয়াবা বিক্রি করা। তবে শেষ রক্ষা হলো না তার। অবশেষে শুক্রবার রাতে কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুল হকের ফাঁদে ২৫টি ইয়াবাসহ আটক হতে হলো তাকে। 

আটক ওই কনস্টেবল সম্পর্কে এভাবেই বিবরণ দেন উপজেলার জামালপুর ইউপির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান ফারুক মাস্টার।

আটকের নাম মাহমুদুল হাসান ওরফে সৈকত। তিনি উপজেলার জামালপুর ইউপির ছৈলাদী গ্রামের এসএম মনির উদ্দিন শেখের ছেলে। সে নরসিংদী পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিল। তবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিল দীর্ঘদিন। 

ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক মাস্টার জানান, সৈকত পুলিশের পরিচয়ে স্থানীয়ভাবে ইয়াবা ব্যবসা করতো। সে পুলিশে চাকরি করলেও দীর্ঘ সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিল। সৈকত শুধু নিজে নয়, তার নেতৃত্বে স্থানীয়ভাবে গড়ে তুলেছিল ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয়ের একটি বড় চক্র। যে চক্রের মাধ্যমে সে সহজেই এ মাদক কেনা-বেচা করতো। তবে সাধারণ মানুষ তাকে কিছুই বলতে পারতো না। কারণ সে পুলিশে চাকরি করতো। তার ব্যাপারে আমরা থানায় অবহিত করেছিলাম। এ কারণেই তার প্রতি থানা পুলিশের নজরদারি ছিল। কিন্তু সে বুঝতে পারেনি। 

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে নিজ বাড়ির পাশের একটি কালভাটে বসা ছিল কনস্টেবল সৈকত। এ সময় থানার এসআই সুলতান উদ্দিন খান তাকে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আটক করে। এ সময় সে পালানোর চেষ্টা করে পুলিশের সাথে দস্তাদস্তি করে। পরে তার দেহ তল্লাসী করে ২৫ পিস ইয়াবা জব্দ করে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুল হক বলেন, এ ব্যাপারে থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা করার পর ওই মামলায় তাকে শনিবার দুপুরে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।