• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সরকারের লক্ষ্য উন্নত রাষ্ট্র গড়া

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০১৯  

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের অধীনে টানা গত দশটি বছরে তথ্যপ্রযুক্তি, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, বিদ্যুৎ, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ মৌলিক চাহিদাগুলোর প্রতিটি বিভাগেই প্রশংসনীয় উন্নতি ঘটেছে বলে মনে করছেন দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞরা। যার সর্বশেষ সংযোজন সন্ত্রাসবাদ কমিয়ে আনা। মোট ১৬৩টি দেশের ওপর করা গবেষণায় অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিসের ‘গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্স’ নামের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ সূচকে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মতো বড় বড় দেশগুলোর চেয়েও ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

গত দুই বছরে যেখানে সবচেয়ে সন্ত্রাসকবল দেশের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র যেখানে ৩২ তম অবস্থান থেকে অবনতি হয়ে ২০ তমতে এসেছে, সেখানে বাংলাদেশ আগের বছরের ২১তম অবস্থান থেকে সন্ত্রাসবাদের গড় হ্রাস পেয়ে এখন হয়েছে ২৫তম। শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের থেকেই বাংলাদেশ এগিয়ে নয়, বরং পাকিস্তান, তুরস্ক, থাইল্যান্ড ও মিসরের মতো ক্ষমতারধর দেশগুলোকেও পেছনে ফেলেছে টানা তিন মেয়াদের বর্তমান সরকারের বাংলাদেশ।

যেখানে বেশি সন্ত্রাসের ঘটনার কারণে প্রথম অবস্থানে ইরাক, আফগানিস্তান দ্বিতীয়। তালিকায় পাঁচ নম্বরে পাকিস্তান, সপ্তম অবস্থানে রয়েছে ভারত।

২০১৭ সালে করা বিবিসির এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে এক বছর থেকে ১৭ বছর বয়সী যেসব শিশু নিহত হচ্ছে, তাদের মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশ দুর্ঘটনাবশত, আর বাকিগুলো হত্যা বা আত্মহত্যা। সে দেশে প্রতিবছর গুলিতে এক হাজার ৩০০ শিশু নিহত হয়। দেশটির সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের গবেষকেরা জানিয়েছেন, প্রতিবছর পাঁচ হাজার ৮০০ শিশু গুলিতে গুরুতর আহত হয়।

২০০৭ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ৬০ শতাংশ বেড়েছে। গবেষণায় বলা হয়, শিশুরা যখন তাদের পরিবার বা ছেলেবন্ধু এবং মেয়েবন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে জটিলতায় পড়ে, তখন তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান শিশুদের আত্মহত্যার প্রবণতা অন্যদের তুলনায় চার থেকে পাঁচগুণ বেশি।

আমেরিকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন করতে বেশ কয়েকবার সরব হয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কিন্তু তার সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। শিশুমৃত্যু ছাড়াও বিভিন্ন সময় আমেরিকায় বন্দুকধারীদের অতর্কিত হামলায় বহু মানুষ প্রাণ হারায়।

তবে একটি কুচক্রি মহলের কারণে মাঝের সময়টাতে জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিলেও বর্তমান সরকারের দৃঢ়তায় খুব বেশি সময় লাগেনি তা রোধ করে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে। ২০১৫ সালে যখন বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিকদের ওপর আক্রমণের বেশ কিছু ঘটনা ঘটে, ২০১৬ সালে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা চালানো হয়, তখন বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান পর্যবেক্ষণের পর প্রতিবেশী রাস্ট্র ভারত জানিয়েছে, এদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো ও শিল্পবান্ধব হয়েছে।

সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, হলি আর্টিজানের পর বাংলাদেশ সরকারের কঠোর জঙ্গিবিরোধী অবস্থানের কারণে আর কোনও বড় ধরনের হামলা ঘটতেই পারেনি।

এদিকে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপরও বিভিন্ন হামলার ঘটনা অনেকটাই কমে এসেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।