• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ঢাকায় দেশের প্রথম পাতাল রেলের নকশার কাজ চলছে

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯  

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগের মেয়াদের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি বেশ কিছু নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার। যারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে পাতাল রেল ব্যবস্থা। যাত্রার সুবিধার্থে বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো পাতাল রেল ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। রাজধানী ঢাকায় প্রকল্পের দুইটি অংশের অধীনে মোট ২৬ দশমিক ৬০ কিলোমিটার পাতালরেল লাইন নির্মাণের নকশার কাজ চলছে বলে রেলের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি-১) প্রকল্পের দুটি অংশের মাধ্যমে ঢাকায় মোট ২৬ দশমিক ৬০ কিলোমিটার পাতাল রেল লাইন নির্মাণ করা হবে। যা নির্মাণে ঋণ সহায়তা দিতে সম্মতি দিয়েছে জাপান। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বলে জানা গেছে।
আগামী জুন মাসে পাতাল রেলের অর্থায়ন নিয়ে জাপানের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। চুক্তি হয়ে গেলে চলতি বছরের মধ্যেই প্রকল্পের টেন্ডারের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন প্রকল্প পরিচালক মো. সাইদুল হক। তিনি বলেন, সহজ শর্তে দেওয়া এই ঋণের জন্য মাত্র দশমিক ৯৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। ১০ বছরের মেয়াদ কালসহ ৩০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
প্রকল্প পরিচালক জানান, ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩ থেকে খিলক্ষেত-যমুনা ফিউচার পার্ক-নতুন বাজার-উত্তর বাড্ডা-বাড্ডা-হাতিরঝিল-রামপুরা-মালিবাগ-রাজারবাগ হয়ে কমলাপুর যাবে প্রকল্পের একটি রুট। যার দূরত্বের পরিমাণ হবে মোট ১৬ দশমিক ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ।

পাতাল রেলের দ্বিতীয় অংশটি নতুন বাজার থেকে শুরু হয়ে যমুনা ফিউচার পার্ক-বসুন্ধরা-পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি-মাস্তুল-পূর্বাচল-পশ্চিম পূর্বাচল-সেন্টার পূর্বাচল হয়ে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত যাবে। যেখানে এই রুটটির দৈর্ঘ্য হবে ১০ দশমিক ২০ কিলোমিটার।
বাংলাদেশের অন্যান্য বড় প্রকল্পগুলোর মতো পাতাল রেলও অন্যতম। এ প্রকল্পে অর্থায়ন করতে জাপান রাজি হলেও পাতাল রেল নির্মাণের পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) এখনো চুড়ান্ত হয়নি। তাই এ প্রকল্পের চূড়ান্ত ব্যয় নির্ধারণ সম্ভব হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
যেহেতু এই প্রকল্পে জাপান ঋণ সহায়তা করছে, আর সাধারণত বলা হয় জাপান কোনো প্রকল্পে একবারই অর্থায়ন করে থাকে, সেক্ষেত্রে যদি কোনও কারণে ওই প্রকল্পের অর্থায়ন বেড়ে যায়, তাহলে সরকারের পক্ষ থেকেই প্রকল্পের বাকি ব্যয় করতে হবে বলে সূত্রে জানা গেছে।