• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে সতর্ক সকল শিক্ষাবোর্ড

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯  

প্রশ্নপত্র ফাঁস গুঞ্জন একটি সামাজিক ব্যাধি। যার কবলে পড়ে শেষ হয়ে যেতে পারে একটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও সমাজ। তাই আসন্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে নানা তৎপরতা শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। স্বয়ং এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. দীপু মনি ইতোমধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্তদের করণীয় ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনও করেছেন। দিয়েছেন বিভিন্ন নির্দেশনাও।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বোর্ডগুলোর প্রত্যক্ষ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। তাই এবার আগে থেকেই প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে সতর্ক রয়েছে বোর্ডগুলো। জানা যায়, বিগত বছরগুলোতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর প্রথমেই আঙুল ওঠে শিক্ষাবোর্ডগুলোর দিকে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও বোর্ডগুলোকেই বেশি দায়ী করে। এতে অদৃশ্য এক চাপ সৃষ্টি হয়েছে বোর্ড কর্মকর্তাদের ওপর। যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে গত কয়েক বছর প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা চোখে পড়েনি। তাই সেই ধারাকে অব্যাহত রাখতে এ বছর সচেতনতা আরও অব্যাহত থাকছে বলে জানা গেছে।

বিভিন্ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর এটাই প্রথম পাবলিক পরীক্ষা। তাই, সন্দেহাতীতভাবে পরীক্ষা শেষ করা বড় একটি চ্যালেঞ্জ। আর বোর্ডগুলো সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬ মাস পূর্বে ৬৪ জন শিক্ষককে বাছাই করে প্রশ্নপত্র মডারেশনের দায়িত্ব দেয়া হয়। এই মডারেটররা প্রত্যেকে এক সেট করে মোট ৬৪ সেট প্রশ্নপত্র তৈরি করেন। তারপর যাচাই-বাছাই শেষে নির্দিষ্ট সেটগুলো বিজি প্রেসে পাঠানো হয় ছাপার জন্য। পরে মডারেটরদের চূড়ান্ত করা প্রশ্নপত্র সিলগালা করে বোর্ডের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সিলগালা অবস্থায়ই প্রশ্নপত্র পাঠানো হয় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সাব কমিটির প্রধান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে। অন্য শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা জানতে পারবেন না কোন সেট ছাপা হচ্ছে। এতসব সতর্কতার পরও এবার প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে সিকিউরিটি টেপ ব্যবহার না করে আরও আধুনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সূত্র জানায়, গত বছরের ন্যায় এবারও পরীক্ষার আগেই জেলা প্রশাসকদের কাছে প্রশ্নপত্র পৌঁছে দেয়া হবে। আর কোন সেটে পরীক্ষা হবে তা জেলা প্রশাসকদের মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে জানানো হবে মাত্র ৩০ মিনিট পূর্বে। সেই অনুযায়ী কেন্দ্র সচিবদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে নির্দিষ্ট প্রশ্নপত্র। এদিকে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। চলতি মাসের ২০ তারিখে এ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে এ তাগিদ দেন তিনি। ওই বৈঠকে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে প্রশ্নফাঁসের বিষয়েও সতর্ক করে দেয়া হয়।

এর ফলে প্রশ্ন সুরক্ষার জন্য কঠোরতা অবলম্বন করছে বোর্ডগুলো। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, প্রশ্নফাঁস রোধে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপারের খামে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে। কেউ আগে ভাগে খাম খুললে ধরা পড়ে যাবে।