• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

৩ প্রার্থীর পোস্টার ছিঁড়লেন স্টিফেন সমর্থকরা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘একক প্রার্থী’ হাবিবুর রহমান স্টিফেনের সমর্থকদের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বঞ্চিত তিন প্রার্থীর ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। রোববার বিকেলে নবীনগর উপজেলা সদরে মনোনয়ন বঞ্চিত কাজী জহির সিদ্দিক টিটু, সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস ও এইচ.এম আল-আমিন আহমেদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে তাদের নির্বাচনী ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন স্টিফেন সমর্থকরা।

শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে হাবিবুর রহমান স্টিফেনের বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের আত্মীয় এবং তার সম্পদ দেখাশোনা করার অভিযোগ করেন মনোনয়ন বঞ্চিত ওই তিন প্রার্থী। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন স্টিফেন সমর্থকরা।
বিকেলে নবীনগর উপজেলা পরিষদ ডাক-বাংলোর সামনে থেকে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েক নেতা অংশ নেন। যদিও বিক্ষোভ মিছিলের ব্যানারে কোনো আয়োজকের নাম ছিল না। বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় থানা ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, নবীনগর পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আমিন, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব রহমান প্রমুখ।

এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের নির্দেশে বিক্ষুব্ধরা মনোনয়ন বঞ্চিত ওই তিন প্রার্থীর লাগানো নির্বাচনী কিছু ব্যানার ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থী এইচ.এম আল-আমিন আহমেদ এমন অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, এমপির (মোহাম্মদ এবাদুল করিম) নির্দেশে আমরা যারা সংবাদ সম্মেলন করেছি তাদের পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়েছে। আমরা বিষয়টি দলের হাইকমান্ডকে জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ হালিম বলেন, নবীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। আজকের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েক ব্যক্তি অংশ নিয়ে থাকতে পারেন। ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা অস্বাভাবিক কিছু না। যেখানে বিক্ষোভ হয়েছে সেখানে সবই সম্ভব। যারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারাও তা অনৈতিকভাবে করেছেন।