• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অন্ধ তবুও কুরআনের আলোয় আলোকিত এই তিন হাফেজ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৯  

এই তিনজন জন্ম থেকেই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। পৃথিবীর কোনো কিছুই চোখে দেখেনি তারা। তবুও শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নানা প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে তারা এখন কুরআনের হাফেজ। 

তরা হলেন, লক্ষীপুরের আবদুল গণি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্রেইল হাফিজিয়া ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। হাফেজ মোহাম্মদ ইমাম হাসান, ইয়াছিন আরাফাত ও জাহিদুল ইসলাম।

জাহিদ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাপুর গ্রামের প্রয়াত মোহাম্মদ কবির হোসাইনের ছেলে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছোট্ট জাহিদ তার বাবার স্বপ্ন পূরণ করেছে। কুরআন মাজীদের ত্রিশ পারা সম্পূর্ণ মুখস্ত করতে মাত্র তিন বছর সময় লেগেছে তার। আগামী রমজান মাস থেকে তিনি খতম তারাবি পড়াবেন। যদিও তার বাবা এই সফলতা দেখে যেতে পারেননি। তবুও সন্তানকে সঠিক শিক্ষাদানে জাহিদের মরহুম বাবা সফল হয়েছেন।

 

 

এদিকে হেফজ শেষ করার পর গত দুই বছর ধরে আল কুরআনের তাফসীর ও হাদিস গ্রন্থসমূহ নিয়ে পড়াশুনা করছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইমাম হাসান ও ইয়াছিন আরাফাত। সব ঠিক থাকলে আর পাঁচ বছর পরেই তারা হয়ে উঠবেন আল কুরআনের তাফসীরকারক। 

হাফেজ ইমাম হাসান লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাসিন্দা মহিব উল্লাহর ছেলে ও হাফেজ ইয়াছিন আরাফাত সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুল করিমের ছেলে।

জানা গেছে, ২০১৪ সালে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের আবদুল গণি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্রেইল হাফিজিয়া ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় ব্রেইল পদ্ধতিতে কুরআন শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়।এ প্রতিষ্ঠানে মাওলানা শামছুজ্জামান মাহমুদ, হাফেজ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ক্বারী আবদুল মোহাইমেনের তত্ত্বাবধানে নাজরানা, হাফিজিয়া ও কিতাব শাখায় মোট ১৭ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছাত্র অধ্যয়নরত রয়েছে। সেখানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছাত্রদের ভর্তি, থাকা-খাওয়া ও পড়ালেখা সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে হয়। স্থানীয়দের অনুদানেই মাদ্রাসাটি চলছে।