• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

৮০ বছরের মধ্যেই সমুদ্রে তলিয়ে যাবে বাংলাদেশ!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০১৯  

আগামী ৮০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের এক বড় অংশ সমুদ্রে পানির নিচে চলে যেতে পারে বলে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত একটি রিপোর্টে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বে বর্তমানে যে হারে কার্বন নির্গমন চলছে তা কমানো না গেলে এটি ঘটবে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘প্রসিডিংস অব দি ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস’ নামের জার্নালে প্রকাশিত এ জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি যতটা হবে বলে পূর্বে ধারণা করা হয়েছিল, পানির স্তর আসলে তার চাইতে অনেক বেশি বাড়বে।- খবর বিবিসি’র

নতুন প্রকাশিত এ রিপোর্ট অনুযায়ী, ২১০০ সাল নাগাদ সমুদ্রস্তরের উচ্চতা ৬২ সেন্টিমিটার থেকে ২৩৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।

গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকায় জমে থাকা বরফ গলার হার দ্রুততর হওয়াই এর কারণ, বলছেন বিজ্ঞানীরা। ফলে ভূপৃষ্ঠের ৮০ লাখ বর্গ কিলোমিটার পরিমাণ ভূমি সাগরের পানিতে তলিয়ে যাবে। এর মধ্যে থাকবে বাংলাদেশের বড় একটি অংশ এবং মিশরের নীল নদ উপত্যকাও।

বিজ্ঞানীদের মতে বাংলাদেশের অনেক এলাকা তখন এমন হয়ে যাবে যে সেখানে লোকজনের বসবাস খুবই দুরূহ হয়ে পড়বে।

এতদিন বিজ্ঞানীরা বলছিলেন, ২১০০ সাল নাগাদ পৃথিবীর সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বাড়বে এক মিটারের কিছু কম। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে ওই হিসেব ছিল অনেক ‘রক্ষণশীল’। নতুন জরিপে বলা হচ্ছে, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়তে পারে ওই হিসেবের প্রায় দ্বিগুণ।

বিপন্ন হবে লন্ডন, নিউইয়র্ক এবং সাংহাইয়ের মতো অনেক শহরের অস্তিত্ব। কোটি কোটি লোককে এর ফলে বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে। যে জায়গাগুলো পানির নিচে চলে যাবে তার অনেকগুলোই গুরুত্বপূর্ণ ফসল ফলানো অঞ্চল, যেমন নীল নদের বদ্বীপ।

প্রতিবেদনটির বিশেষজ্ঞ গবেষকরা অবশ্য জানিয়েছেন, যদি আগামী কয়েক দশকে কার্বন নির্গমন বড় আকারে কমানো যায় তবে এমন পরিণতি এড়ানো এখনো সম্ভব।

তারা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতের পৃথিবী এখনকার চাইতে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতর হবে, যদি কার্বন নির্গমন এখনকার হারেই চলতে থাকে। তাহলে ২১০০ সাল নাগাদ সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বাড়বে ৬২ সেন্টিমিটার থেকে ২৩৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত।

এর আগে ২০১৩ সালের রিপোর্টে বলা হয়েছিল সমুদ্রস্তরের উচ্চতা ৫২ থেকে ৯৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। কিন্তু এখন বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকায় বরফ গলার প্রক্রিয়ার অনেক দিকই তাতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি।