• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

অবরুদ্ধ কাশ্মীরিদের ‘বন্দে ভারত’ উপহার মোদি সরকারের

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০১৯  

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার পর (৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ) উপত্যকার জন্য প্রথম বড় উপহার মোদি সরকারের। সূচনা হল দিল্লি-কাটরা সেমি হাইস্পিড ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ ট্রেনের।

বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে সবুজ পতাকা দেখিয়ে উদ্বোধনের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বললেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নে এটা বিরাট উপহার।’

রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের আশ্বাস, ২০২২ সালের ১৫ আগস্টের মধ্যেই রেলপথে যুক্ত হবে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। আনুষ্ঠানিক সূচনা হলেও বাণিজ্যিকভাবে প্রথম ট্রেন চলবে ৫ অক্টোবর থেকে। আইআরসিটিসি-তে শুরু হয়ে গিয়েছে টিকিট বুকিং। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার পর থেকেই মোদি-শাহরা বলে আসছিলেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর সরকারের প্রধান লক্ষ্য হবে উপত্যকার উন্নয়ন।

জম্মু-কাশ্মীর-লাদাখের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় অন্তরায় ছিল ৩৭০ ধারা- সেকথাও শোনা গেছে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের মুখে।

আগে থেকে নির্ধারিত থাকলেও বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা কাশ্মীরের উন্নয়নের প্রথম ধাপ বলেই দাবি বিজেপির। এ দিন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর অমিত শাহ বলেন, ‘দিল্লি-কাটরা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়ন এবং ধর্মীয় পর্যটনের প্রসারের ক্ষেত্রে বিরাট উপহার।’

একই সঙ্গে তিনি বলেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশের সবচেয়ে উন্নত এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম হবে এই উপত্যকা।

বৈষ্ণোদেবী তীর্থক্ষেত্রে যাওয়ার পথে শেষ রেল স্টেশন কাটরা। এই দিল্লি-কাটরা এক্সপ্রেসের সূচনা হওয়ার পর যাত্রার সময় কমে গেল প্রায় চার ঘণ্টা। আগে ১২ ঘণ্টা লাগত যাত্রায়।

রেল মন্ত্রণালয়ের খবর, দিল্লি থেকে মঙ্গলবার বাদে প্রতিদিন সকাল ৬টায় ছাড়বে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কাটরায় পৌঁছবে দুপুর ২টায়। যাত্রাপথে অম্বালা ক্যান্টনমেন্ট, লুধিয়ানা এবং জম্মু তাওয়াই স্টেশনে দুই মিনিট করে দাঁড়াবে। উল্টো পথে কাটরা থেকে এই ট্রেন ছাড়বে দুপুর ৩টায়। দিল্লি পৌঁছাবে রাত ১১টায়।

বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের অন্য নাম ‘ট্রেন-১৮’। তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে। ১৬ বগির পুরোপুরি তাপানুকূল এই ট্রেনে ইঞ্জিনবিহীন স্বয়ংচালিত প্রযুক্তি যাতে খুব অল্প সময়েই গতি বাড়ানো বা কমানো যাবে।

সেই কারণেই যাত্রাপথের সময় কমিয়ে আনা সম্ভব হবে অন্তত ৪০ শতাংশ। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের উপর দিয়ে চলবে বলে জানালা দরজায় পাথর ছুড়লেও কোনো ক্ষতি হবে না। সেই প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে এই ট্রেন-১৮ এ। ভাড়া সর্বোচ্চ ৩০১৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১৬৩০ টাকা।