• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

বিজেপিবিরোধী জোট গঠনে পিছিয়ে মমতা?

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯  

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের বাকি আর মাস তিনেক। ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে রাজ্যে রাজ্যে জোট গড়ছে বিভিন্ন আঞ্চলিক দল। সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশে ‘চিরশত্রু’ সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি হাত মিলিয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তবে পশ্চিমবঙ্গে এখনও সে লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিবিরোধী শক্তি তিন ভাগে বিভক্ত— তৃণমূল কংগ্রেস, বাম ও কংগ্রেস। গেল ১৯ জানুয়ারি তৃণমূল ব্রিগেড প্যারেড ময়দানে যে জাতীয় স্তরের সমাবেশের আয়োজন করেছিল, সেখানেও একই ছবি প্রতিফলিত হয়েছে। বাম ও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে এ সমাবেশে দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, বর্ষীয়ান নেতা সোমেন মিত্র ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমন্ত্রণ না পেলে সেখানে উপস্থিত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এটা সৌজন্যের ব্যাপার। রাজ্যের শাসকদল সৌজন্য জানে না।’

তবে অভিযোগ খারিজ করে দিচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের যুব নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘সোনিয়া গান্ধীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি কংগ্রেসের সর্বময় নেত্রী। দলের কর্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর অর্থ সবাই সেখানে আমন্ত্রিত। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও আমন্ত্রিত। তাহলে আলাদা করে প্রদেশ নেতাদের আমন্ত্রণ করার প্রয়োজনীয়তা কোথায়? তাহলে কি ওরা সোনিয়া-রাহুলের নেতৃত্ব স্বীকার করেন না!’

তবে লোকসভায় বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খড়্গে ওই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভিও ছিলেন। কেন্দ্রীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রতিনিধি হিসাবে তারা হাজির হয়েছিলেন।

ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে বামেরা বিজেপির বিরুদ্ধে একটি সোচ্চার পক্ষ। সেই বামেদের কেন্দ্রীয় বা রাজ্য নেতৃত্বকে ব্রিগেডের মঞ্চে দেখা যায়নি। যদিও বিজেপির বিরুদ্ধে সরব অন্য বড় নেতাদের অনেককেই দেখা গেছে সমাবেশে।

তবে কি জাতীয় স্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে আর একা হয়ে পড়ছে বামেরা?

এ বিষয়ে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী বলছেন, ‘বামেরা ধারাবাহিকভাবে হিন্দুত্ববাদী বিজেপির বিরোধিতা করে এসেছে। আর তৃণমূল ওদের সঙ্গে কেন্দ্রের জোট সরকারে ছিল। তাই তৃণমূলের বিজেপি বিরোধিতাকে কেউ বিশ্বাস করে না। তাই ব্রিগেডে কোন দল ছিল বা ছিল না, তাতে কিছু আসে-যায় না। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নীতিটাই হচ্ছে আসল।’

অন্যদিকে তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘বামেদের বিরুদ্ধে লড়াইকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা। এ রাজ্যের মানুষ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।’