• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপিকে নজরুল ইসলাম ও অলি আহমদের অনুরোধ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০১৯  

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্রিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ছাড়া নিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে শুরু হয়েছে টানাপড়েন। দলের একটি বড় অংশ চায় বিএনপি ঐক্যজোট থেকে বের হয়ে আসুক।

সংসদ নির্বাচনের পর নেতারা একের পর এক ঐক্যফ্রন্ট ছাড়া নিয়ে ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করছেন। তা এতদিন আড়ালে-আবডালে উচ্চারিত হলেও এবার বিএনপিকে ঐক্যফ্রন্ট ছাড়ার সরাসরি পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।

সম্প্রতি গণমাধ্যমকে ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে মাতামাতি না করে ২০ দলীয় জোটকে বাঁচাতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে তালাক দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই দুই নেতা।

এই বিষয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সংসদ নির্বাচনের শুরু থেকেই ঐক্যফ্রন্টের বিষয়ে আমরা সন্দিহান ছিলাম। দিন যত যাচ্ছে ঐক্যফ্রন্টের কারণে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। বিএনপিতে অনৈক্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে এখন মনে হচ্ছে, বিএনপিকে রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে দিতেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তৈরি করা হয়েছে। বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোটের শরিকরাও এখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিপক্ষে। ২০ দলকে বাঁচাতে অতি শিগগিরই ঐক্যফ্রন্ট ত্যাগ করা অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে ঐক্যফ্রন্ট ছাড়ার বিষয়ে কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়ার পর থেকেই বিএনপি রাজনৈতিকভাবে প্রায় নিঃশেষ হতে বসেছে। ঐক্যফ্রন্টের কারণে ২০ দল যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠা সময়ের ব্যাপার। ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে মাতামাতি ২০ দলের কারোরই পছন্দ নয়। এখনই ঐক্য থেকে বের হয়ে আসার শেষ সময়। সুতরাং কোনোভাবেই ঐক্যফ্রন্টের সাথে আর নয়। বিএনপিকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এর আগে অলি আহমদ বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঐক্যফ্রন্টের অনেক নেতা সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। কোথায় বসে কত টাকা নিয়েছেন, তা–ও তার জানা বলে দলীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেন অলি আহমদ। তার এই বক্তব্য বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করেছে। ২০–দলীয় জোটের অনেক শরিকও ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনা করছেন প্রকাশ্যেই।