• রোববার ১২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৯ ১৪৩১

  • || ০৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫

অনুসন্ধানে পাওয়া: মাহী বি’র ‘অফিসে চুরি’ সাজানো নাটক!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২০ মে ২০১৯  

গত ১২ মে বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহী বি. চৌধুরীর মধ্য বাড্ডার রাজনৈতিক কার্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ওঠার পর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মাহী বি’র অফিসে চুরির ঘটনাটি একটি সাজানো নাটক বলে জানা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্রে এই সত্য আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

এদিকে একই সঙ্গে মাহী বি’র অফিসে চুরি সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তির সংশোধনীর ঘটনার মধ্যেও এ সত্য স্পষ্ট হচ্ছে যে, ঘটনাটি নিছক সাজানো। গত ১২ মে (রোববার) সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর প্রেস সচিব জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মাহীর অফিসের তালা ভেঙে চুরির অভিযোগ করলেও ঘটনার ৬ দিনের মাথায় শুক্রবার (১৭ মে) সেই বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে বলা হয়- মাহী বি চৌধুরীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে মূল দরজার তালা ভেঙে চুরির যে ঘটনা ঘটেছিল, সেই তথ্য সঠিক নয়। অর্থাৎ তালা ভেঙে চুরি হয় বলে ঘটনা সাজানো হলেও তালা ভাঙার কোনো ঘটনা তদন্তে উঠে না আসলে ঘটনাটি সত্য প্রমাণ করতে তথ্যের সংশোধনী করা হয়।

অথচ দপ্তর সম্পাদক ওয়াসিমুল ইসলামের থানার এজাহারে এবং জাহাঙ্গীর আলম প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একই ভুল করেন। তারা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন যে, অফিস কক্ষের মূল দরজার তালা ভেঙে কে বা কারা প্রবেশ করেছিলো।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুসন্ধানী তথ্যে দেখা গেছে, মাহী বি’র অফিস কক্ষের চাবি ব্যবহারের কোনো নিয়মতান্ত্রিকতা ছিলো না। চাবি দু’টি রাখার দায়িত্বও নির্দিষ্ট ছিলো না। সর্বশেষ, চাবি দুটির একটি জাহাঙ্গীর আলম ও অন্যটি অফিস সহায়ক ইব্রাহীমের কাছে ছিলো বলেও একটি সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। অফিস সহায়ক ইব্রাহীম ও প্রেস সেক্রেটারি জাহাঙ্গীরের প্রদত্ত তথ্য মতে, তারা দু’জনে চাবি ভেঙে যাওয়ার পর নকল দুটি চাবি বানিয়েছিলেন। অতএব, এ কথা থেকে বোঝা যায় যে, নকল চাবি আরও বানানো হয়ে থাকতে পারে এবং চাবি অনেকের কাছেই ছিলো বলেও ধারণা করা হচ্ছে। আর ওই ভবনে অর্থাৎ মাহী বি’র অফিসে কোনো প্রকার তালা ভাঙার ঘটনা ঘটেনি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই চুরির ঘটনাটি অফিসের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বা রাজনৈতিক কার্যালয়ে আগত কোনো পরিচিত ব্যক্তির দ্বারাই সংগঠিত হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। অর্থাৎ বিষয়টি এভাবেও আলোচিত হচ্ছে যে, মাহী বি’র অফিসে চুরির এক বা একাধিক ব্যক্তিকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। যা পুরোটাই সাজানো ও পূর্বপরিকল্পিত।