• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন, বিএনপির ৮ নেতার পদত্যাগ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২১ মে ২০১৯  

কেন্দ্রের অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে তৃণমূল বিএনপিতেও। কেন্দ্রীয় নেতাদের মতো বৈষম্য ও অন্তর্কোন্দলে জরাজীর্ণ হয়ে পড়ছে তৃণমূলও। এমন প্রেক্ষাপটে তৃণমূলের অনেক ত্যাগী নেতা দলে নিজেদের যোগ্য স্থান না পেয়ে পদত্যাগ করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার লালমনিরহাট জেলা বিএনপির কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন ৮ নেতা।

এরই মধ্যে ওই ৮ নেতা লালমনিরহাট বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পদত্যাগ পত্রও জমা দিয়েছেন।

অবমূল্যায়িত নেতারা বলেছেন, দলের জন্য বিগত এক যুগ ধরে নানা ত্যাগ স্বীকার করেও নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী দলে সম্মান ও মর্যাদা পাননি তারা। বরং কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছে তাদের কদাচিৎ দেখা যেত রাজনীতির মাঠে। বিএনপির রাজনীতি সঠিক পথে নেই, ফলে নীতিগত জায়গা থেকে বিএনপির রাজনীতি থেকে সরে আসতে চেয়েই তারা পদত্যাগ করেছেন।

পদত্যাগ করা ওই ৮ নেতা হলেন, লালমনিরহাট জেলা বিএনপি কমিটির সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মফিজুর রহমান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ওমর ফারুক, সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জালাল উদ্দিন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবুল বাশার, নির্বাহী সদস্য সাইদুল ইসলাম, মোয়াজ্জেম হোসেন, মমিনুল ইসলাম ও আবুল কাশেম।

এ বিষয়ে পদত্যাগকারী সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মফিজুর রহমান ক্ষোভ নিয়ে বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য সংস্কারপন্থীদের যোগসাজশে একটি গোষ্ঠী নব গঠিত জেলা বিএনপি’র কমিটিতে ত্যাগী, মামলা-হামলা, জেল-জুলুম বরণকারী নেতাদের মূল্যায়ন না করে সুবিধাবাদীদের পদ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি ত্যাগী নেতাদের আত্মসম্মানে আঘাত করায় আমি সহ ৮ জন নব গঠিত কমিটি থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি।

এদিকে, লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির কয়েকজন সদস্যের পদত্যাগপত্র পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি আর কিছু বলতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫মে লালমনিরহাট জেলা পরিষদ (নতুন) মিলনায়তনে লালমনিরহাট জেলা বিএনপি’র ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি ওই দিন শুধুমাত্র সভাপতি পদে আসাদুল হাবিব দুলু এবং সাধারণ সম্পাদক পদে হাফিজুর রহমান বাবলার নাম ঘোষণা করেন। এর প্রায় দুই বছর পর চলতি বছরের ১৮ মার্চ ২১৮ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কমিটিতে আসাদুল হাবিব দুলুর সহধর্মিণী লায়লা হাবিবকে সিনিয়র সহ-সভাপতি করা নিয়েও অনেক নেতার মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।