• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

১৪ তালায় বন্দি বগুড়া বিএনপি, তারেক-সিরাজকে প্রতিহতের ঘোষণা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২১ মে ২০১৯  

বগুড়া জেলা বিএনপির কমিটি নিয়ে বিরোধ চরম আকারে রূপ নিয়েছে। কেন্দ্র তথা সরাসরি তারেক রহমানের নির্বাচিত কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে বগুড়া জেলা বিএনপির একাংশ। কমিটিতে ত্যাগীদের নয় বরং অর্থ-বিত্তের প্রভাবে পদ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন কমিটি প্রত্যাখ্যানকারীরা।

কমিটি প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত ও জেলা কমিটির আহ্বায়ক গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) সিরাজকে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে ‘হটাও সিরাজ, বাঁচাও দল’ কর্মসূচি চালু করেছে জেলা বিএনপির বিক্ষুব্ধ অংশটি।

গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, কমিটি বাতিলের দাবিতে সিরাজ বিরোধী বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এ পর্যন্ত ১৪টি তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। বিক্ষোভ সপ্তম দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। জানা গেছে, সিরাজের চাপে পড়ে ১৪ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যত বহিষ্কার করা হবে তালা তত বাড়বে- বলছেন বিক্ষোভকারীরা।

সিরাজ-হটাও আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতা এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শাহ মেহেদী হাসান বলেন, বিতর্কিত কমিটি বাতিল না করা পর্যন্ত ‘হটাও সিরাজ, বাঁচাও দল’ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দেব।

তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, খারাপ লাগে যখন দলের হাইকমান্ড ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করে দলের সংস্কারপন্থী নেতাদের পা মালিশ করে কেবল অর্থের লোভে! আমি জানি কমিটির সিদ্ধান্ত সরাসরি লন্ডন থেকে আসা, কিন্তু তবু তারেক রহমান সাহেবের এই সিলেকশন আমরা মানতে পারবো না। প্রয়োজনে কেবল সিরাজ নয়, তারেক রহমানকেও প্রত্যাখ্যান করা হবে। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়বো।

জানতে চাইলে জি এম সিরাজ বলেন, বগুড়ায় দল কীভাবে চলবে, সেটি নির্ধারণ করেই নতুন আহ্বায়ক কমিটি করে দিয়েছেন তারেক রহমান। এই কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানেই তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫ মে জি এম সিরাজকে আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট বগুড়া জেলা কমিটির অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কমিটি প্রত্যাখ্যান করে রাত আটটার দিকে শহরের নওয়াববাড়ি সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ এবং সিরাজের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলামের সমর্থকেরা। এরপর সিরাজ বিরোধী বিক্ষোভে জড়িত থাকায় পরদিন বিএনপি, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের ১৪ নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বহিষ্কৃত ব্যক্তিরা ১৬ মে দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে নিয়ন্ত্রণ নেন। বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের দেওয়া তালা ভেঙে ১৭ মে বিকেলে জিএম সিরাজের নেতৃত্বে কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নেন তার পক্ষের নেতারা। এ দিন সেখানে আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভাও হয়। বিকেল পাঁচটার দিকে সিরাজের অনুসারীরা কার্যালয় ত্যাগ করার পর বিরোধীরা ফের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে নিয়ন্ত্রণ নেন।