• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

বগুড়া-৬ উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে সিরাজ, দুশ্চিন্তায় নেতারা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২১ মে ২০১৯  

বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচন নিয়ে খুব কৌশলে এগুচ্ছে বিএনপি। প্রার্থী মনোনয়নেও করা হচ্ছে নানা হিসাব-নিকাশ। দলীয় সূত্র বলছে, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায় থেকে অন্তত ৪/৫ জন দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ করছেন। এক্ষেত্রে বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ এগিয়ে রয়েছেন। তবে তৃণমূল নেতারা বলছেন, সিরাজকে প্রার্থী করা হলে তা হবে ভুল সিদ্ধান্ত। এমনও হতে পারে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনটি হারাতেও পারে বিএনপি।

বগুড়া-৬ আসন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সাধারণত প্রার্থী হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি কারাবন্দী থাকায় সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না নেয়ায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

জানা গেছে, এ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে প্রস্তাব করা হয়েছে বলেও জানা যায়। তবে বিএনপিতে যোগ দেয়ার শর্তের পাশাপাশি তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সামান্য বাণিজ্যের ইঙ্গিত দিলে সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে মান্না।

এমনই পরিস্থিতিতে বগুড়া-৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার নাম শোনা যাচ্ছে। আসনটিতে দলীয় মনোনয়ন পেতে লন্ডনে নীরবে জোর লবিং করছেন তারা। যেখানে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ।

সিরাজের ঘনিষ্ঠ একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সিরাজ ভাইকে তারেক সাহেব পছন্দ করেন। শুনেছি তারেক রহমান এই আসনের জন্য সিরাজ ভাইকেই প্রাথমিকভাবে সিলেকশন করেছেন। কিছু আর্থিক লেনদেনেরও কথা শুনেছি।
সিরাজকে মনোনয়ন দেয়ার বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বগুড়া-৬ আসন নিয়ে তাদের দলে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বগুড়া-৬ আসনে স্থানীয়দের মধ্যে থেকে কেউ প্রাধান্য পাবেন। জাতীয় পর্যায়ের কোনো নেতার ওই আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নেই।

সিরাজের মনোনয়ন প্রাপ্তির সম্ভাবনা থেকে জেলা বিএনপির একজন নেতা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সিরাজ মূলত সংস্কারপন্থী নেতা। সম্প্রতি তাকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদে বসানো নিয়ে ৭ দিনব্যাপী সিরাজ বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। তিনি আসলে সুযোগসন্ধানী নেতা। অর্থ-বিত্তের প্রভাব দেখিয়ে পদ-মনোনয়ন পাচ্ছেন। এতে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন হচ্ছেন না। এমন প্রেক্ষাপটে যদি সিরাজকে সত্যিই মনোনয়ন দেয়া হয় তবে ঐতিহ্যবাহী আসনেও পরাজিত হতে পারে বিএনপি।