• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

তারেকের নির্দেশ মানছেননা ফখরুল-রিজভীরা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ মে ২০১৯  

বিএনপির সকল দলীয় কার্যক্রমে লন্ডনে বসে তারেক রহমানের অযাচিত হস্তক্ষেপ অনেক দিন ধরেই বিএনপির রাজনৈতিক বাস্তবতা। বিদেশে বসে তারেকের এমন অযাচিত হস্তক্ষেপ নিয়ে যথেষ্টই ক্ষুদ্ধ দলটির সিনিয়র নেতারা। ফলশ্রুতিতে দলের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের অধিকাংশ নেতারা তারেকের নির্দেশনা এড়িয়ে চলছেন। রমজানকে কেন্দ্র করে নানা রকম ইফতার মাহফিলের আয়োজনের মাধ্যমে দলকে গোছানোর নির্দেশনা তারেকের কাছ থেকে এলেও দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের অনীহায় তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে রমজানকে কেন্দ্র করে দল গোছানোর কাজে মনোযোগী হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান। ইফতার পার্টির মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ বিভেদ দূর করে দলকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা ছিলো বিএনপির। কিন্তু বাস্তব চিত্র উল্টো। অথচ গত বছর পুরো রমজান জুড়েই বিএনপি ইফতার পার্টির মাধ্যমে দলকে গোছানোর কাজে ব্যস্ততা দেখিয়েছে। কেন্দ্র থেকে তৃণমূলেও ইফতার আয়োজনের মাধ্যমে দলীয় সাংগঠনিক ক্ষমতা বৃদ্ধির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু এবার তৃণমূলকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এরকম কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

সম্প্রতি তারেকের নির্দেশে দলীয় পাঁচ এমপির শপথ কেন্দ্র করে দলে এক ধরণের  হ-য-ব-র-ল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। রাতারাতি সিদ্ধান্ত বদলের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান। তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা প্রকাশ্যে বিষোদগার করছেন তারেকের বিরুদ্ধে। দলীয় ফোরামসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইয়ে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে ইফতার সংশ্লিষ্ট তারেকের নির্দেশনা মানছে না অনেকেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ এ বিষয়ে বলেন, পাঁচ এমপির শপথকে কেন্দ্র করে বিএনপিতে ‘চেইন অব কমান্ড’ ভেঙে পড়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তৃণমূলেও সেই ছোঁয়া লেগেছে। বিএনপি হাইকমান্ডের উচিত দলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া। এ উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে বিএনপিতে আরও অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। দলীয় সকল বিষয়ে তারেকের এমন হস্তক্ষেপ ঘিরে কেন্দ্রে নেতায় নেতায় সৃষ্টি হয়েছে দূরত্ব। জ্যেষ্ঠ বেশ কয়েকজন নেতা শপথের ঘটনার পর মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন। কেউ কেউ রাগে ক্ষোভে অভিমানে দলের ঘরোয়া কর্মসূচিতেও যোগ দিচ্ছেন না। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা একে অপরকে দুষছেন। এমতাবস্থায় ভেঙে পড়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। দলের চরম দুঃসময়ে সিনিয়র নেতাদের এমন অনীহার কারণে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাপ্তাহিক বৈঠকও কোনো কারণ ছাড়া বাতিল হয়ে গেছে।