• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

বিতর্কিত নেতাদের তালিকা ভারী হচ্ছে বিএনপিতে

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০১৮  

চমৎকার রাজনীতি শৈলী জনগণকে দেখাতে না পারলেও অভিনয় শৈলী দেখিয়ে নিত্য নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে, দিয়েছিলো এবং দিচ্ছে বিএনপি। আসন্ন নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি জেনে বিভিন্ন রকম অভিযোগ, মিথ্যাচারের উপর ভর করে এগোচ্ছে তারা। আর এই মিথ্যাচারের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দলের নেতাকর্মীরা। এজন্য দেশের জনগণ তাদেরকে করছে অবিশ্বাস। এই অবিশ্বাসের ধারা তারা অব্যাহত রেখেছে আসন্ন নির্বাচনেও।

যেখানে সারাবিশ্ব অভিযান চালাচ্ছে জঙ্গিবাদ নির্মূলের জন্য সেখানে বিএনপি আরও মনোনয়ন দিচ্ছে জঙ্গি মদদদাতাদের। শুধু তাই নয় তারা মনোনয়ন দিয়েছে এমন প্রার্থীকে যাদের নামে রয়েছে একাধিক হামলার মামলা। এমনকি যাদের নামে অপরাধের তালিকা বেশি তাদের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের বদলে তাঁদের স্বজনদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে ২০০১-০৬ সালে ব্যাপক দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ ছিল। ওয়ান ইলেভেনে ফখরুদ্দিনের সরকার আসার পর আমানউল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকা দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে এসেছিল। দুর্নীতির দায়ে কারাভোগও করেছেন আমানউল্লাহ আমান। দণ্ডিত হওয়ার কারণে এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য হয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর বদলে বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়েছেন তারই ছেলে ইরফান ইবনে আমান। কিন্তু তার ছেলে তার দেখানো পথে হাটবে না এর নিশ্চয়তা কে দিবে? বিতর্কিত নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ আছেন ভারতে। আসন্ন নির্বাচনে তার অবর্তমানে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদকে। স্বামীর বদলে স্ত্রীর মনোনীত হওয়ার দৌড়ে পিছিয়ে নেই রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। তার নামে রয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নানারকম দুর্নীতির অভিযোগ। স্বামীর বদলে স্ত্রীকে মনোনীত করা হয়েছে।

২০০১- ২০০৬ সালে দেশের খাম্বা কেলেঙ্কারির খবর সবারই জানা। সেই সময় বিএনপির বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল মাহমুদ টুকু বিশাল অংকের টাকা আত্মসাৎ করে। কিন্তু সব অপরাধেরই যে একদিন না একদিন বিচার হয় এই কথা তিনি ভুলে গিয়েছিলেন। এই অপকর্মের জন্য তার বিপরীতে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তার স্ত্রী রুমানা মাহমুদকে।

বিএনপির বেশির ভাগ নেতাকর্মীদের নামে রয়েছে পাহাড় সমান মামলা। এই মামলার ভার সহ্য করতে না পেরে বেশিরভাগই এখন কারাগারে আছে। ঠিক যত তাড়াতাড়ি টাকার পাহাড় প্রতিপত্তি গড়েছেন ঠিক তত তাসব ধূলিস্যাৎও হয়েছে। কারণ জনগণের বরাদ্দকৃত অর্থ নিজের মনে করে নিলে তা স্থায়ী হয় খুব কম সময়ের জন্য। বিএনপির নেতাকর্মীদের ক্ষেত্রে ঠিক এমনটাই ঘটেছে।