• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

এবার বিএনপির ‘ঘুষতত্ত্ব’

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০১৮  

শত অপকর্ম ও ষড়যন্ত্র করেও হালে পানি পাচ্ছে না বিএনপি। দেশব্যাপী তাণ্ডব ও গুজব রটনোর মাধ্যমে ভয়াবহ তথ্যসন্ত্রাসেও তেমন কোনো ফায়দা হয়নি। বরং জনসাধারণের মনে বিএনপির জন্য তৈরি হয়েছে ঘৃণা ও অবিশ্বাসের আসন।

জন্মের শুরু থেকেই অবশ্য ক্ষমতার আসনের বসতে মরিয়া হয়ে আছে দলটি। যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় যেতে যা যা করণীয়, বিএনপি তা বরাবরই করে এসেছে। এসব কাজে তারা সঙ্গী হিসেবে পেয়েছে দেশদ্রোহী-রাজাকারের দল জামায়াতসহ দেশি বিদেশি চিহ্নিত অপশক্তিগুলোকে।

প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে এই জোট দেশকে অন্তত ২০০ বছর পিছনে ঠেলে দিয়েছিলো। দেশকে সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ ও দুর্নীতির অভয়ারণ্য করে গড়ে তুলেছিলো।

২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এরপর ক্ষমতা হারানোর পর নিজেদেরকে আর গুছিয়ে নিতে পারেনি বিএনপি।

সন্ত্রাস-দুর্নীতিসহ নানা অপকর্মের খেসারত দিয়ে আসছে বিএনপি। খোদ দলের শীর্ষ নেতারাই একে একে হতে থাকেন নিষ্ক্রিয়। অন্যদিকে দলের প্রধান খালেদা জিয়া এখন প্রমাণিত দুর্নীতিবাজ। সাজা মাথায় নিয়ে প্রায় একবছর ধরে কারাভোগ করেছেন। তার ছেলে তারেক জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামী। দলের পঁচে গলে যাওয়া অন্যান্য নেতারাও নানাভাবে পাপের ফল ভোগ করছেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অনেকেই আছেন আত্নগোপনে। কেউ কেউ আলাদা বলয় গড়ে তোলার চেষ্টায় আছেন। সবমিলিয়ে বিএনপির অবস্থা একেবারেই লেজেগোবরে।

এতকিছুর পরেও থেমে নেই বিএনপির অপকর্মের পরিকল্পনা। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলটি ষড়যন্ত্রের নীলনকশা তৈরি করেছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে দলটি ভোটের দিন কেন্দ্রের নিরাপত্তারক্ষীদের ঘুষ প্রদানের পরিকল্পনা করেছে। বিএনপি আশা করছে, ঘুষ প্রদানের মাধ্যমে নিরাপত্তারক্ষীদের দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা যাবে। এর মাধ্যমে বিএনপির সন্ত্রাসীরা কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করবে এবং ধানের শীষে গণহারে সিল মারবে।

জানা যায়, নিরাপত্তারক্ষীদেরকে প্রদেয় ঘুষ আসবে বিএনপি শাসনামলে করা দুর্নীতির অর্থ থেকে। পাকিস্তানসহ বিভিন্ন অপশক্তিও মোটা অঙ্কের অর্থ সরবরাহ করবে। এছাড়াও দেশের সকল আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ও নেতাকর্মীদের কাছ থেকেও এই বাবদ বড় অঙ্কের টাকা নেয়া হবে।

নীলনকশার এই পরিকল্পনা এসেছে পলাতক আসামী তারেকের কাছ থেকে, যা ইতোমধ্যে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছেছে। ক্রমান্বয়ে তা চলে যাবে দেশব্যাপী। আর বিএনপি তাদের এই পরিকল্পনায় সফল হলে দেশ আবারও অরাজকতার মুখে পড়বে, একথা নিশ্চিত করেই বলা যায়।