অভিনব উপায়ে কেন্দ্র দখলের পায়তারা করছে বিএনপি

আসন্ন নির্বাচনে ভরাডুবি জেনে বিভিন্ন রকম অভিযোগ, মিথ্যাচারের উপর ভর করে আগাচ্ছে বিএনপি। শুধু তাই নয় দলের নেতাকর্মীদের মনোনয়নপত্র প্রদানের ক্ষেত্রেও তৈরী করেছে নাটক। বিএনপি একটি রাজনৈতিক দলের বদলে একটি নাট্যদলে রূপান্তরিত হয়েছে। গত নির্বাচনে নানা রকম অজুহাত দেখিয়ে জাতীয় নির্বাচন থেকে দূরে ছিল বিএনপি। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলো। কিন্তু কোনো এক নাট্য নির্দেশকের নির্দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর আবার দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের জন্য আবদার করেছিলেন। তারা ভুলে গিয়েছিলেন যে এটি একটি গণতান্ত্ৰিক দেশ। কোনো নাট্য নির্দেশক বা মামার বাড়ির আবদার এখানে গ্রহণযোগ্য নয়।

শুধু দ্বিতীয় দফা নির্বাচন চাওয়ার অহেতুক আবদারে সারা দেশজুড়ে সৃষ্টি করে তাণ্ডবলীলা। এই তাণ্ডবলীলায় ঝরে সাধারণ মানুষের প্রাণ। গণপরিবহনে  আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়। সেই সাথে আছে দুদকের তালিকায় দুর্নীতির বিশাল এক তালিকা। সেখানে পরিলক্ষিত হয় জনগণের বিভিন্ন উন্নয়নের টাকা নিজের মনে করে তারা হয়েছেন লাখপতি থেকে কোটিপতি। কিন্তু অন্যদিকে জীবনমানের কোনো উন্নত করতে পারেনি দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের।

বিএনপির করা নাশকতা, হামলা, দুর্নীতি, কুচক্রী চাল, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য জনগণ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে এই  দল থেকে। দেশের মানুষ আজ উন্নয়নে বিশ্বাসী। স্বাধীন দেশে কোনো মিথ্যার আশ্রয় হোক, দেশদ্রোহীর আশ্রয় হোক তারা তা চায় না। দেশবাসী দেশের বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এর প্রমাণ দিয়েছেন।

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জনগণ একযোগে প্রত্যাহার করেছেন বিএনপি নামক দুর্নীতিবাজ এই দলকে। এজন্য জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির নেতাকর্মীদের কপালে দেখা দিয়েছে চিন্তার ভাচ। এই চিন্তার ভাচ দূর করতে দলের নেতারা নিচ্ছে অসৎ বুদ্ধি। সম্প্রতি এক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে যে, বিএনপির নেতারা অভিনব পদ্ধতিতে জনগণকে ধোঁকা দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখলের পায়তারা করছেন। সিনিয়র নেতারা তৃণমূল নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন যে তারা যাতে বুকে নৌকার প্রতীক লাগিয়ে এবং মুজিব কোট পরে কেন্দ্র দখল করে জোরপূর্বক ধানের শীষে ভোট দেয়।

বিএনপির নেতাকর্মীরা শেষ পর্যন্ত জাতির জনকের চলাফেরার ধরণকে ব্যবহার করে বের করেছে অবৈধ পথ। কতটা নিচে নামলে দেশের একটি রাজনৈতিক দল এরকম হীন মনের কাজের সাথে যুক্ত হতে পারে তা ইতোমধ্যে দেশবাসী বুঝতে পেরেছে।