মাঠের রাজনীতিতে হেরে মিথ্যা দোষারোপের খেলায় মত্ত বিএনপি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর যৌক্তিক আন্দোলনের ইস্যু না পাওয়ায় এবার সরকারের শুভেচ্ছা বিনিময়ের বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করে জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে বিএনপি। বিভিন্ন সূত্রের খবরে জানা গেছে, জনগণের কাছে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সংলাপের নামে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে অসৎ উদ্দেশ্য পূরণেই এসব কাজ করছে।

এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট ইস্যুহীন থাকায় মূলত সরকারকে চাপে ফেলে নিজেদের শোচনীয় পরাজয়ের নূন্যতম প্রতিশোধ নিতেই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। রাজনীতির মাঠে অস্তিত্ব সংকটের সম্মুখীন হওয়ায় বিএনপি তৃতীয় একটি পক্ষের ইশারায় নির্বাচিত সরকারকে বিব্রত করে নিজেদের অন্তরজ্বালা মেটাতেই ঘৃণ্য পায়তারায় মেতে উঠেছে। সরকারের চলমান উন্নয়নের ধারায় এসব ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তি ভেসে যাবে বলেও মনে করছেন তারা।

বিষয়টিকে ভিত্তিহীন মিথ্যাচার দাবি করে বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিভুরঞ্জন সরকার বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত বিএনপি-জামায়াত উৎসবমুখর পরিবেশে বিদ্বেষের বিষবাস্প ছড়ানোর অপচেষ্টার অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যকে বিকৃত করে প্রচার করছে। জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি-জামায়াত মাঠের রাজনীতিতে হেরে এখন বিদ্বেষ ছড়ানোর মিশনে নেমেছে। বিষয়টি অত্যন্ত হাস্যকর। রাজনীতি বাদ দিয়ে বিএনপি এখন অভিযোগ-অনুযোগের রাজনীতিতে নেমেছে। মিথ্যাচার এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানোর জন্য বিএনপি-জামায়াতের জুড়ি নেই। জনগণের আবেগ অনুভূতি নিয়ে খেলার জন্যই আজ বিএনপি-জামায়াতের এই মরণদশা। দেশের মানুষ অনেক সচেতন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে নিজেদের পক্ষে আনতে কোনদিনই সক্ষম হবে না বিএনপি।