• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রতারণা এবং চাঁদাবাজির জন্য বিএনপির প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১০ বছরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম দশ মিনিটের একটা আন্দোলন দাঁড় করাতে পারেননি। যে মহাসচিবের দল (বিএনপি) জাতীয় নির্বাচনে তিন শ আসনের মধ্যে দশটিরও কম আসন পায়, তার নেতৃত্বেই আন্দোলনে ক্ষমাহীন ব্যর্থতা, নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে। সুতরাং, লজ্জা-শরম থাকলে মির্জা ফখরুলের আরও আগে পদত্যাগ করা উচিৎ ছিলো।

১৬ জানুয়ারি দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু মির্জা ফখরুল একক নন, বরং তার দলের প্রতিটি পর্যায়ের নেতারা বিগত দশ বছরের রাজনৈতিক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। বিগত দশ বছরে এত ইস্যু থাকলেও শুধুমাত্র বিদেশিদের কাছে অভিযোগ-অনুযোগ দেয়া ছাড়া বিএনপির অর্জন শূন্য বলেও মনে করছেন তারা। রাজনীতি করতে হলে জনসম্পৃক্ততা এবং জনপ্রিয়তা প্রয়োজন, যেটি বিএনপির নেই বলেই বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচন এবং স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে পরাজয় ঘটেছে বলেও মনে করেন তারা।

মির্জা ফখরুলকে ব্যর্থ রাজনীতিবিদ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক এ আরাফাত বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব সারাজীবন রাজনীতি করলেও রাজনীতি থেকে কোন শিক্ষা নিতে পারেননি। সেই অর্থে মির্জা ফখরুল যে অভিযোগকারীদের নেতা হবেন সেটি অনুমেয়। যে দল বিগত দশ বছরে জনগণের কাছে যেতে পারেনি, যে দল এতদিন ক্ষমতার বাইরে থেকেও রাজনৈতিক শুদ্ধি অর্জন করতে পারেনি, যে দল ভঙ্গুর অবস্থায় থেকেও মনোনয়ন বাণিজ্যের মতো ক্ষতিকর বিষয় থেকে বের হতে পারেনি, সেই দলকে তো ভরাডুবির সম্মুখীন হতেই হবে। অবশ্য এককভাবে মহাসচিব এবং সিনিয়র নেতাদের দায়ী করেও লাভ নেই। কারণ বিএনপির নিয়ন্ত্রণ একজন অপরাধীর হাতে। যে দলে গণতন্ত্রের চর্চা নেই, সেই দলে বিশৃঙ্খলা হবেই হবে। আমার মনে হয়, বিগত দশ বছর প্রান্তিক নেতা-কর্মী, বিদেশি সাহায্যকারীদের কাছে মির্জা ফখরুল ও তারেক রহমানের ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমি মনে করি, অভ্যন্তরীণ চাঁদাবাজি, কোন্দল, পরীক্ষিতদের অবমূল্যায়ন করা, স্বদেশ বিরোধীদের সঙ্গে প্রকাশ্য আঁতাত রক্ষা করা, জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতির চর্চার জন্য বিএনপিকে জনগণের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমার মতে, বিএনপিকে বাঁচাতে হলে চিহ্নিত চাঁদাবাজ, সুবিধাবাদী, চাটুকারদের বাদ দিতে হবে। মির্জা ফখরুলদের মতো ব্যর্থ নেতাদের বাদ দিতে হবে। অবশ্য অনুতাপ থাকলে উনারা নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে অনেক আগেই সরে দাঁড়াতেন।