• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

অগণিত আন্দোলনের ডাক দিয়েও ‘একলা চলতে’ হচ্ছে বিএনপিকে

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯  

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বগুড়া থেকে গণআন্দোলন শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৩ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকা ফেরার পথে বগুড়ার শহরতলির বকুল এলাকায় একটি হোটেলে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।

এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলামের আন্দোলনের ডাককে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে প্রতারণার অংশ হিসেবে দাবি করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সাংগঠনিক দুর্বলতা, সমন্বয়হীনতা, অগ্রহণযোগ্যতা এবং অতীতের হিংসাত্মক রাজনীতির জন্য কোনদিনই গ্রহণযোগ্য আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে না বলেও মনে করছেন তারা।

মির্জা ফখরুল ইসলামের তর্জন-গর্জনকে আষাঢ়ে গল্পের সঙ্গে তুলনা করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাস সিংহ রায় বলেন, বিএনপির নেতারা কাগুজে বাঘের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। নখ-দন্তহীন বাঘের যেমন অহেতুক গর্জনই একমাত্র শক্তি, তেমনি বিএনপির নেতাদের আন্দোলনের মিথ্যা আশ্বাসই টিকে থাকার শেষ শক্তি। আন্দোলনের জন্য দলটির নেতা-কর্মীরা দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করছে। বছর শেষ হয়ে যায় কিন্তু বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচির বাস্তবায়ন হয় না। মির্জা ফখরুলদের প্রতারণাপূর্ণ আশ্বাসে হতাশ ও দল বিমুখ হয়ে পড়েছেন দলটির কর্মীরা। সেটির স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনে। দলে দলে নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনে যোগদান করছেন। ‘চোরের মা’র বড় গলা’ সকলেই জানেন। মির্জা ফখরুল দাবি করেছেন, ৯৯ শতাংশ মানুষ বিএনপির পক্ষে। ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে জাতীয় নির্বাচনে এমন শোচনীয় পরাজয়ের সম্মুখীন হতে হতো না।

এ আরাফাত আরো বলেন, মির্জা ফখরুল জনপ্রিয়তা নিয়ে এত কথা বলছেন, তার আগেই কিন্তু দলীয় কোন্দল স্পষ্ট হয়েছে। বগুড়ার একটি অনুষ্ঠানে নেতা-কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন মির্জা সাহেব। বিএনপি যে বিশৃঙ্খল দল সেটি আবারো দেশবাসী দেখল। যাদের পায়ের নিচে মাটি নেই তারাই আবার দুঃসাহসিক অভিযানের স্বপ্ন দেখছেন। এমন হাস্যকর কর্মসূচি ঘোষণার কারণে দেশবাসী দলটিকে ‘ভাঁড়দের আখড়া’ বলেই জানে। রাজনীতি মৌখিক চর্চার বিষয় নয়। রাজনীতি করতে হলে সাহস লাগে। সেই সাহস হারিয়ে ফেলেছে বিএনপি। সাধারণ মানুষের কাছে বিএনপি মানেই হাস্যকর যাত্রাপালা’র দল।