• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

কী করবে বিএনপি, পথ খুঁজে পাচ্ছে না নেতারা!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯  

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অভাবনীয় বিপর্যয়ের পর উত্তরণের পথ কী হবে, তা এখনো ঠিক করতে পারেনি বিএনপি। দলটি পুননির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে যাবে, নাকি আপাতত চুপচাপ থেকে দল গোছানোর কাজ করবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না নেতারা। এতে তৃণমূলেও ছড়িয়ে পড়েছে হতাশা।

বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতার মতে, ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দলের নেতৃত্বের ঘাটতি প্রকাশ পেয়েছে। নির্বাচনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে কিছুটা ঝিমানো ভাব দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ কেউ এ পরিস্থিতিতে নেতৃত্বের পরিবর্তনের বিষয়টি সামনে আনতে চাচ্ছেন।

এরইমধ্যে গত বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) দলীয় একটি অনুষ্ঠানে দুই জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মওদুদ আহমদ ‘ব্যর্থ বলে পরিচিতদের’ সরে দাঁড়িয়ে তরুণদের নেতৃত্বে আনার যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা নিয়েও সমালোচনার সূত্রপাত হয়েছে। নেতাদের অনেকে বোঝার চেষ্টা করছেন, ‘ব্যর্থ’ হিসেবে কে বা কাদের বুঝিয়েছেন মওদুদ ও মোশাররফ।

এ বিষয়ে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, কারা ব্যর্থ, সেটা তো দল পুনর্গঠিত হলে প্রক্রিয়াতেই বেরিয়ে আসবে। অন্যদিকে মওদুদ আহমদ এ বিষয়ে নতুন করে কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেছেন, ‘যা বলার বলে দিয়েছি। আর ব্যাখ্যা করতে চাই না। বলতে গেলেই নানা রকমের কথা উঠবে। এমনিতেই আমরা একটা দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। যদি কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত হয়, তখন দেখা যাবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, খন্দকার মোশাররফ ও মওদুদ আহমদের এ বক্তব্যে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের কারও কারও মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে। এর রেশ ধরে ঐক্যফ্রন্টের সর্বশেষ বৈঠকে যাননি স্টিয়ারিং কমিটিতে বিএনপির তিন সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সর্বশেষ মোশাররফ ও মওদুদের বক্তব্য নিয়ে নানা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ চলছে দলে। এ পরিস্থিতিতে দলের করণীয় নির্ধারণে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কিছুটা দ্বিধা দেখা দিয়েছে।

তবে দলের একটি সূত্র বলছে, সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে বা ছাড় দিয়ে হলেও তারা খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে চান। এ ক্ষেত্রে শপথ গ্রহণ থেকে বিরত থাকা বিএনপির সাংসদদের সংসদে পাঠানোর বিনিময়ে খালেদা জিয়ার কারামুক্তির কথা কেউ কেউ বলেছেন। আবার খুব অল্পসংখ্যক নেতাকর্মী আন্দোলন করার পক্ষে। তবে দলের নেতাকর্মীদের অধিকাংশ মনে করছেন একেবারে চুপচাপ না থেকে ঢিলেঢালা কর্মসূচি অব্যাহত থাকুক।

যদিও সিদ্ধান্ত নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে দলের তৃণমূল নেতৃত্ব হতাশার সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছে। সেই অর্থে বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হয়ে রাজনীতির মাঠে ফিরে আসাটা বিএনপির জন্য বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।