• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

‘কালোব্যাজ ধারণ’ কর্মসূচিতে নেই ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতারা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রতিবাদ হিসেবে ১ ঘণ্টার কালোব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে  এ কর্মসূচি পালন করা হলেও কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন না ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা জোটের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন, মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম,  জোটের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য মাহমুদুর রহমান মান্না,  আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মোস্তফা মহসিন মন্টু, জহির উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ড. জাহিদুর রহমান। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তাহলে কি জোটের কার্যকারিতা হারিয়ে যাচ্ছে?

তবে কর্মসূচিতে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিত না থাকার কারণ ব্যাখ্যা করে জোটের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, তার ডান পায়ে অপারেশন করা হয়েছে। হঠাৎ করেই পায়ের ব্যথা বেড়েছে। এই কারণে তিনি কর্মসূচিতে আসতে পারেননি। আর মির্জা ফখরুল বিদেশে আছেন এবং কাদের সিদ্দিকী পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানের কারণে আসতে পারেননি।

এদিকে ঐক্যফ্রন্টের একটি সূত্রে জানা গেছে, মাহমুদুর রহমান মান্না ও মোস্তফা মহসিন মন্টু বিদেশে আছেন। আর ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, জহির উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ড. জাহিদুর রহমান দেশে থেকেও কর্মসূচিতে আসেননি।

ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য নেতাকর্মীদের প্রশ্ন – নেতারা যদি বিদেশে বা দেশে অবস্থান করে কর্মসূচিতে আসতে না পারেন তাহলে কর্মসূচি দেওয়ার দরকার কী? ঐক্যফ্রন্টের বিরোধীদের সমালোচনা করার সুযোগ দেওয়ার দরকার কী?

এ বিষয়ে গণফোরামের কর্মী শরিফুল ইসলাম বলেন, সব নেতা যখনই বিদেশে থাকবেন, তাহলে কর্মসূচি না দিলেও পারতেন। অথবা তারা যখন দেশে থাকবেন, সেই সময় কর্মসূচির তারিখ ঘোষণা করতে পারতেন। এভাবে আন্দোলন করে সরকারকে দাবি আদায়ে বাধ্য করা সম্ভব নয়।

বাংলা কলেজ ছাত্রদলের নেতা জহিরুল ইসলাম বলেন, অনেকে মনোনয়ন না পেয়ে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয় ও নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছিল, তালা দিয়েছিল। কিন্তু আজকে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের অধিকাংশই দলীয় কর্মসূচিতে আসেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য জানান, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচিতে আর দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ, এই দু‘জন ফ্রন্টের কর্মকাণ্ডে খুশি নন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এমন দৈন্যদশা প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ বলেন, নির্বাচন পূর্ব সময়ে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের মধ্যে যে স্পৃহা দেখা গিয়েছিল তা আর নেই। একের পর এক বিভিন্ন ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন ফ্রন্টের নেতারা। ফলে ঐক্যফ্রন্টের অগ্রগামী হওয়ার সম্ভাবনা আর দেখা যাচ্ছে না। শুধু ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নয়, কর্মীদের উপস্থিতিও হাতেগোনা। এরপর আর কোনো জোট টিকতে পারেন না- ইতিহাস তাই বলে! জোটের কর্মপরিধির নেতৃত্বে দুর্বলতা থাকলে এরকম হওয়াই স্বাভাবিক।