• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ফখরুলের বিদায় নিশ্চিত, কে হচ্ছেন বিএনপির নতুন মহাসচিব?

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে দ্বন্দ্বে জর্জরিত ছিলো বিএনপি। এই দ্বন্দ্বের প্রধান দুইটি কারণ ছিলো দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবাস হতে মুক্তি না পাওয়া এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না হওয়া। শুরুর দিকে বিএনপি এই দাবি নিয়ে অনড় থাকলেও রাজপথে আন্দোলন করতে না পারার ব্যর্থতায় বিএনপির সুর নরম হতে শুরু করে। বিশেষ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য জোর প্রচেষ্টা শুরু করেন। এ নিয়ে লন্ডনে পলাতক থাকা দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানসহ দলটির নীতিনির্ধারক ফোরামের সাথে একাধিক বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল। ভোটারদের কাছে বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে ড. কামালের নেতৃত্বে গণফোরাম, জাসদ, নাগরিক ঐক্য সহ কয়েকটি দল নিয়ে গঠন করেন ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ নামক নতুন নির্বাচনী জোট। তারেক রহমানসহ দলটির সিংহভাগ নেতার আপত্তি থাকা স্বত্বেও ভঙ্গুর অবস্থায়ই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিএনপি এবং নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবির শিকার হয়।

নির্বাচনের এই ফলাফলের কারণে বলির পাঠা হতে চলেছেন  দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলীয় সূত্রে জানা গেছে বিএনপির মহাসচিব পদ থেকে ফখরুলকে সরিয়ে অন্য কাউকে দায়িত্ব প্রদান করার ব্যাপারটি এক প্রকার নিশ্চিত, অপেক্ষা শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার।

মির্জা ফখরুল দল পরিচালনায় ব্যর্থ ও অযোগ্য দাবি করে মওদুদ আহমেদসহ তার অনুসারীরা মির্জা ফখরুলকে বাদ দিয়ে দল পুনর্গঠনের দাবি তুলেছে। যেখানে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের অন্তত তিন নেতা ইতোমধ্যে প্রকাশ্যেই বলেছেন, ‘তথাকথিত বর্ষীয়ান ও ব্যর্থদের বাদ দিয়ে ত্যাগী ও মাঠে থাকা অপেক্ষাকৃত তরুণদের দিয়ে দল পুনর্গঠন করতে হবে।’

দল পুনর্গঠন কোন প্রক্রিয়ায় হবে এ নিয়ে তাদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মত লক্ষ্য করা গেলেও বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীদের মধ্যে দলের পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা চলছে। বিএনপিতে এরই মধ্যে মহাসচিব পদে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নাম আলোচনায় লক্ষ্য করা গেছে।

দলের মহাসচিব পদে পরিবর্তন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কী না- জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলটির এক যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মহাসচিব বাস্তবায়ন করেন। তবে মহাসচিব পদে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নাম আলোচনায় রয়েছে।’

এদিকে মির্জা ফখরুলের প্রতি দলের এমন বৈরী আচরণে অনেকটাই বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন বিএনপির দুর্দিনের এই নেতা। ফখরুলের ঘনিষ্ঠ অনুসারীদের মাধ্যমে জানা গেছে দলের সঙ্কটে হাল ধরা বর্ষীয়ান নেতা মির্জা ফখরুলকে মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দিলে মনোবল হারাবে অধিকাংশ তৃণমূল নেতাকর্মী।