• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

কবুল হজের আলামত ও রাসূল (সা.) এর সতর্কবার্তা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০১৯  

প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘এক ওমরাহ অপর ওমরাহ পর্যন্ত সময়ের (ছগিরা গোনাহ সমূহের) কাফফারা স্বরূপ। আর কবুল হজের প্রতিদান জান্নাত ব্যতিত কিছুই নয়।’ (বুখারি, মুসলিম)।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবুল হজের প্রতিদান ঘোষণা করেছেন শুধুই জান্নাত। ওলামায়ে কেরাম কবুল হজের আলামত বা চিহ্ন ব্যাখ্যা করেছেন। কিছু নমুনা তুলে ধরেছেন। যা প্রত্যেক হজ পালনকারীর জন্য জানা আবশ্যক। যাতে নমুনা অনুযায়ী নিজেকে এ ফ্রেমে আবদ্ধ করতে পারে।

কবুল হজের নিদর্শন:

হজে মাবরুর বা কবুল হজ বলতে ওই হজকে বুঝায়-

> যে হজে কোনো গোনাহ করা হয়নি এবং যে হজের আরকান-আহকাম সবকিছু (বিশুদ্ধ সুন্নাহ মোতাবেক) পরিপূর্ণভাবে আদায় করা হয়েছে।

হজ থেকে ফিরে আসার পর আগের চেয়ে উত্তম (জীবন-যাপনে অভ্যস্ত) হওয়া এবং আগের মতো গোনাহে পুনরায় লিপ্ত না হওয়া। (ফাতহুল বারি)।

হাজিদের প্রতি বিশ্বনবীর সতর্কতা:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজ পালনকারীদের সতর্ক করে দিয়ে বিদায় হজের ভাষণে বলেছিলেন-

‘হে মানুষ! অতি তাড়াতাড়িই তোমরা তোমাদের প্রভুর সঙ্গে মিলিত হবে। অতঃপর তিনি তোমাদের আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন। অতএব সাবধান! তোমরা আজকের (হজের) দিনের পর পুনরায় পথভ্রষ্ট (গোনাহে লিপ্ত) হয়ো না।’ (বুখারি, মুসলিম ও মিশকাত)।

হজ পালনে যারা বায়তুল্লাহমুখী তাদের উচিত, এখন থেকেই গোনামুক্ত থাকা। বিগত জীবনের গোনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা। জীবনের বাকি সময় আর যেন গোনাহে লিপ্ত না হতে হয়ে সেভাবে জীবন পরিচালনা করা।

হজ পরবর্তী সময়ে গোনাহমুক্ত জীবন-যাপনের জন্যই প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষকে সতর্ক করেছেন। যারা এ সতর্কতা অবলম্বন করতে পারবে, তাদের কর্মের মধ্যেই ফুটে ওঠবে হজ কবুলের আলামত বা নির্দশন।

হজের সফরে বেশি বেশি তালবিয়া পড়া এবং এ দোয়া পড়া-

لَبَّيْكَ اَللهُمَّ عُمْرَةً و حَجًّا مُتَمَتِّعًا بِهَا اِلَى الْحَجِّ فَيَسِّرْهَا لِىْ وَ تَقَبَّلْهَا مِنِّىْ

উচ্চারণ : লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা উমরাতান ও হাজ্জান মুতামাত্তিআন বিহা ইলাল হাজ্জি; ফা-ইয়াসসিরহা লি ওয়া তাক্বাব্বালহা মিন্নি।’

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি ওমরাহ ও হজের জন্য হাজির। হজের উদ্দেশ্যে উপকার লাভকারী হিসেবে। অতএব তুমি আমার জন্য ওমরাহকে সহজ করে দাও এবং আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করে নাও।’

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে হজে মাবরূর বা কবুল হজ দান করুন। বিগত জীবনের সব গোনাহ থেকে মাফ করে দিয়ে সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর ন্যায় নিষ্পাপ হিসেবে কবুল করুন। আমৃত্যু নিষ্পাপ থাকার তাওফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।