• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রমজান : ভোগের নয়, ত্যাগের

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২০  

‘আহলান সাহালান মাহে রমজান’। অসংখ্য কল্যাণ, রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের হাতছানি দিয়ে আমাদের মাঝে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস।

মাসটি সম্পর্কে আমাদের সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি হলো, যেহেতু রহমতের, মাগফিরাত আর নাজাতের মাস সুতরাং কোনো না কোনোভাবে মাফ তো পেয়েই যাব! এই দৃষ্টিভঙ্গি ভুল নয় তবে পরিপূর্ণ নয়। কেননা, এই মাসে আল্লাহ অবশ্যই আমাদেরকে মাফ করতে চান। তবে বিনা শর্তে নয়। শর্ত হলো, যখন আমরা মাসটিকে কবিরা গুনাহ থেকে মুক্ত রাখব তখনই তিনি আমাদেরকে মাফ করবেন। (মুসলিম ৩৪৯)।

যদি কোনো ব্যক্তি রমজানেও কবিরা গুনায় ডুবে থাকে আর আল্লাহর রহমতের আশা করে তাহলে বলা যায় এর নাম রহমতের আশা নয়; বরং এটা রহমতের সঙ্গে তামাশা। রহমতের আশা করা নিষেধ নয়; তবে তামাশা করা নিষেধ।

রমজান : ভোগের নয়, ত্যাগের :

আমরা রমজানের প্রস্তুতি বলতে বুঝি, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে। কাজেই খেজুর তেল পেঁয়াজ ইত্যাদি কিনে নাও! রমজানের জন্য খাদ্য মজুদ কর! ব্যাস! এটাই রমজানের প্রস্তুতি। এটাও ঠিক নয়। কেননা, রমজানের অন্যতম শিক্ষা তো হলো, ভোগের প্রস্তুতি নয়; ত্যাগের প্রস্তুতি নেয়া। ‘সাওম’ তো বলা হয়, খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি ত্যাগ করাকে। অথচ আমরা ত্যাগের প্রস্তুতি না নিয়ে ভোগের প্রস্তুতি নিয়ে থাকি!

আমরা অনেকেই এভাবে চিন্তা করে বসে থাকি যে, ‘রমজান আসুক, তখন তাওবা করব। এর আগে ইচ্ছে মতো যত পারি গুনাহ করে মজা লুটে নেই।’ কী জঘন্য চিন্তা! এর অর্থ হলো, আল্লাহ তায়ালার রহমতের আশাটাকে নিজের গুনাহ করার হাতিয়ার বানিয়ে ফেললাম। এটা আল্লাহর রহমতের সঙ্গে এক প্রকার তামাশা নয় কি? এর দ্বারা আল্লাহ তায়ালার অহংকারে লাগে। এজন্য খবরদার, এমন চিন্তা করবেন না; বরং রমজানের এ শুরু থেকেই অধিকহারে তাওবা-ইস্তেগফার-কান্নাকাটি শুরু করে দিন। অন্যথায় দেখবেন, উক্ত নেগেটিভ চিন্তার কারণে যদি আল্লাহ তায়ালার বড়ত্বে আঘাত লেগে যায় তাহলে তিনি রহমতের মাসে রহমতের পরিবেশেও আপনাকে তাওবা করার তাওফিক দেবেন না।

রমজানের আগমণে আনন্দিত হওয়া; এটাও রমজানের প্রস্তুতিরই একটি অংশ। মুমিনের বৈশিষ্ট্য হলো, নেক আমল সামনে আসলে খুশি হয়। আর মুনাফিক ভ্রূ কুচকিয়ে ফেলে, সে নারাজ হয়ে যায়। এজন্য দেখবেন, রমজান এসেছে বলে অনেকেই খুশি হচ্ছেন। আবার অনেকেই নারাজ।