• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ টাইগাররা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১ আগস্ট ২০১৯  

স্বপ্ন ছিল সিরিজ জয়ের। বিশ্বকাপ ব্যর্থতা ভোলার একটি উপলক্ষ হতে পারতো লংকা সফর। কিন্তু কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা হয়েই ফেরত এলো সব। হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় সিরিজ শেষ করলো বাংলাদেশ। 

শ্রীলংকায় টাইগাররা এর আগে সর্বশেষ হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ২০০৭ সালের সফরে। এরপরের ২ সফরেই ড্র করে ফিরেছিল টাইগাররা। দীর্ঘ এক যুগ পর আবার লংকাদ্বীপে ক্লিন সুইপ হওয়ার অভিজ্ঞতা হলো বাংলাদেশের। 

ব্যর্থ বিশ্বকাপ মিশন শেষে শ্রীলংকা সফরে ভালো কিছুর প্রত্যাশায় ছিল সবাই। তবে সফরের ঠিক আগে ইঞ্জুরিতে ছিটকে যান অধিনায়ক মাশরাফী। সাইফউদ্দিনও হন একই পথের যাত্রী। দলের সেরা খেলোয়াড় সাকিব আগে থেকেই ছুটি নিয়েছিলেন। অন্যতম ব্যাটসম্যান লিটন দাস ছিলেন বিয়ের ছুটিতে।

দলে নতুন কিছু পুরনো মুখ জায়গা পেলেও সবাই এই সফরে ব্যর্থ। অবশ্য বহুদিন পর সুযোগ পাওয়াদের কেউ কেউ তিন ম্যাচের একটিতেও সুযোগ পাননি। কি ভেবে টিম ম্যানেজমেন্ট তাদের স্কোয়াডে অন্তর্ভূক্ত করেছিল প্রশ্ন রাখা যায় এখানেও। 

ব্যাটিং বোলিং ফিল্ডিং কোন ডিপার্টমেন্টেই ছিলোনা পরিকল্পনার ছাপ। অধিনায়ক তামিম ইকবাল যেনো চাপের ভারে আরো নুয়ে পড়েছিলেন। বডি ল্যাঙ্গুয়েজে ক্লান্তির ছাপ ছিল স্পষ্ট। মুশফিকুর রহিম ২ ম্যাচে আর সৌম্য সরকার এক ম্যাচে পঞ্চাশোর্ধ রান করেছেন, বলার মতো প্রাপ্তি এটুকুই। আরেকটা প্রাপ্তি বলা যায় বোলার সৌম্যের উত্থান। এছাড়া শফিউল হকও খারাপ করেননি মোটেও। 

তবে দলীয় খেলা ক্রিকেট। আর দল হিসেবে ব্যর্থ বাংলাদেশ। তাই সিরিজের তিনটি ম্যাচেই হারের ব্যবধান বেশ বড়। প্রথম ম্যাচ ৩১ রান, দ্বিতীয় ম্যাচ ৭ উইকেট ও তৃতীয় ম্যাচ ১২২ রানের বড় ব্যবধানের হার দলের দুর্দশাকে চোখে আঙ্গুল দিয়েই যেনো দেখিয়ে দিচ্ছে। যেখানে কোচ হিসেবে খালেদ মাহমুদ সুজনের অভিজ্ঞতাটা ভালো হলো না।   

এই হতাশার শেষ কই হবে, জানেনা কেউই।