• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সারাদেশে স্বতন্ত্র পরীক্ষা ভবন নির্মাণ করছে সরকার

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০১৯  

 বর্তমান সরকারের দৃঢ় প্রচেষ্টায় শিক্ষা ব্যবস্থায় আসছে আমূল পরিবর্তন। প্রশ্নপত্র ফাঁস, নকল থেকে মুক্তি, পরীক্ষা কেন্দ্র শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাসহ সুষ্ঠু শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।

সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে আলাদা পরীক্ষা কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরকে (ইইডি) এ কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

তথ্যসূত্র বলছে, যেকোনো বোর্ড পরীক্ষা সম্পন্ন করতে দেশের অন্তত ৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্র ও ভেন্যু করতে হয়। যেসব স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় পরীক্ষা নেয়া হয় সেখানে সর্বনিম্ন ১ মাস থেকে সর্বোচ্চ পৌনে ৩ মাস ক্লাস বন্ধ থাকে। শুধু তাই নয়, ডিগ্রি, অনার্স-মাস্টার্স এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা গ্রহণের জন্য কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বছরে ৩ থেকে ৪ মাস বন্ধ থাকে। ফলে এই ক্ষতি বিবেচনায় স্বতন্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি কক্ষে ১শ’ শিক্ষার্থীর বসার ব্যবস্থা করা হবে। একটি ভেন্যু কেন্দ্রে এক সঙ্গে ৪ হাজার পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। সেই হিসাবে একটি উপজেলায় একাধিক পরীক্ষার ভেন্যু হবে। প্রতি ভেন্যু ৫ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ৪ একরে ভবন হবে। বাকিটা পুকুর, উন্মুক্ত স্থান ও বাগানের জন্য থাকবে। ৫ তলার বেশি ভিত হলে ভবনে লিফটের ব্যবস্থা থাকবে। ভবনের জমি অধিগ্রহণে যাতায়াত সুবিধা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। পরীক্ষা ছাড়া বছরের বাকিটা সময় কমিউনিটি সেন্টারসহ সামাজিক অনুষ্ঠানাদির জন্য বহুমুখী ব্যবহারের প্রস্তাবও আছে। এতে বেসরকারি আয়ের পথও উন্মুক্ত হবে।

শিক্ষা নিয়ে গবেষণা সংস্থা গণস্বাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক কেএম এনামুল হক বলেন, পরীক্ষার ছুটির সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্ধারিত বার্ষিক আরও নানা ছুটি যুক্ত হয়। ফলে দীর্ঘ সময় শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ থাকা শিক্ষা ব্যবস্থা কোচিং ও প্রাইভেট নির্ভর হয়ে ওঠার অন্যতম কারণ। সুতরাং এ উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার জন্য তা খুব ভালো হবে।

প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্র হবে আধুনিক প্রযুক্তি সুবিধা সম্পন্ন। যাতে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা দ্বারা পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করা যায়। থাকবে সাদা বোর্ড, ইন্টারনেট সংযোগ, মাল্টিমিডিয়া, জেনারেটর এবং সোলার সিস্টেম, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। প্রশ্ন ও উত্তরপত্রসহ পরীক্ষার সরঞ্জাম পরিবহনে মূল কেন্দ্রের পাশাপাশি ভেন্যু কেন্দ্রের জন্য একটি করে মাইক্রোবাস থাকবে ।

পরীক্ষার্থীর বয়স বিবেচনায় কেন্দ্রে বেঞ্চ থাকবে। এর মধ্যে পিইসি পরীক্ষার্থীদের জন্য এক ধরণের বেঞ্চ দরকার। জেএসসি এবং এর উপরের পরীক্ষার জন্য আরেক ধরণের বেঞ্চ দরকার। ভবন নির্মাণের পরিকল্পনায় এসব রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।