• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার নিয়ে বিভ্রান্তিতে গ্রাহক

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২২ জুন ২০১৯  

পল্লী বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার নিয়ে গ্রাহকদের নানা বিভ্রান্তি ও প্রতিবাদ অব্যাহত থাকলেও আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে গাজীপুরে এক লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপনের জন্য গাজীপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ কে সরকার নির্দেশনা দিয়েছে ইতোমধ্যে প্রায় ৫০ হাজার মিটার স্থাপন সম্পন্ন করেছে তারা বাকি মিটার স্থাপনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে প্রিপেইড মিটার ব্যবহারে গ্রাহকদের নানা অভিযোগ উত্থাপন হলেও অচিরেই তা সমাধান হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে গাজীপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১

 

গাজীপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রথম ৫ হাজার গ্রাহকের মধ্যে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের মাধ্যমে এ কর্মসূচী শুরু করে তারা বিদ্যুতের অপচয় রোধ, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতির প্রবর্তন ও  সরকারের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির পরিকল্পনায় পরের অর্থবছরে তারা আরও ৫ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটার সংযোগ প্রদান করেন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের শেষ অবধি তারা ৫০ হাজার মিটার স্থাপন করতে সক্ষম হন আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও ৫০ হাজার মিটার স্থাপন করা সম্পন্ন হবে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ২ কোটি গ্রাহকের মধ্যে প্রিপেইড মিটার স্থাপনে সরকারি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গাজীপুরে এসব মিটার স্থাপন করা হচ্ছে

এদিকে প্রচলিত পোস্ট পেইড এনালগ বা ডিজিটাল মিটারের চেয়ে নতুন পদ্ধতিতে প্রিপেইড মিটারে বিদ্যুতের বিল বেশি নেয়া হচ্ছে এবং গ্রাহকরা নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে- এ ধরনের অভিযোগ উত্থাপন করে প্রিপেইড মিটারের গ্রাহকরা বেশ কিছুদিন ধরে এসব মিটার স্থাপনের বিরোধিতা করছে তারা এ ব্যাপারে শ্রীপুরের মাওনাতে মানববন্ধন ও কালিয়াকৈরে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও  কর্মসূচী পালন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তবে গ্রাহকদের এসব অভিযোগ সত্য নয় এবং নতুন গ্রাহকদের মধ্যে নানা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে বলে মনে করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ তারা বলছেন, নতুন সিস্টেমে বেশি বিল কেটে নেবার  কোন সুযোগ নেই গ্রাহকরা যতটুকু বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন বিল সেই পরিমাণই  আসবে নানা অসচেতনতার কারণে কিছু কিছু গ্রাহক সমস্যায় পড়লেও অধিকাংশ গ্রাহক নতুন পদ্ধতিতে সন্তুষ্ট বলে জানান পল্লী বিদ্যৎত সমিতি তবে  নতুন একটি সিস্টেম চালু করতে গেলে প্রাথমিক অবস্থায় কিছু সমস্যা থাকলেও পুরো সিস্টেমে গ্রাহক প্রতারিত হবার কোন সুযোগ নেই কোন কোন গ্রাহকের লাইনে টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে বিল বেশি কেটে নেয়া হচ্ছে বলে অনুমিত হলেও এ ধারণাটি সঠিক নয় যেসব গ্রাহক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, সমিতির লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধান করে দিচ্ছেন

গ্রাহকদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, পুরনো সিস্টেমে গ্রাহকরা যে পরিমাণ মাসিক বিল পরিশোধ করতেন, নতুন প্রিপেইড মিটার স্থাপনের পর তাদের অনেক বেশি বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে এ ছাড়া রিচার্জের জন্য পর্যাপ্ত স্টেশন না থাকায় বিদ্যুৎ অফিসে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে রিচার্জ করতে হয় এছাড়া মিটার  স্থাপনের পর প্রতি মাসে আগের চেয়ে বেশি পরিমাণ মিটার ভাড়া কেটে নেয়া হচ্ছে আগে যেখানে মাসে ১০ টাকা মিটার ভাড়া দিতে হতো, এখন দিতে হয় ৪০ টাকা এছাড়া অগ্রিম রিচার্জ সিস্টেমের কারণে চাকরিজীবী বা ভাড়াটিয়ারা সমস্যায় পড়ছেন এসব কারণে তারা প্রিপেইড মিটার স্থাপনের বিরোধিতা করছেন

গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার যুবরাজ চন্দ্র পাল গ্রাহকদের নানা অভিযোগের বিষয়ে বলেন, বিদ্যুৎ বিল বেশি কেটে নেয়ার  গ্রাহকদের অভিযোগ সঠিক নয় এই সিস্টেমে বেশি বিল কেটে নেয়ার কোন সুযোগ নেই গ্রাহকরা যতটুকু বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন, ততটুকুরই বিল নেয়া হয়  তবে গ্রাহকের বাসা বাড়ির ওয়ারিংয়ে কোন ত্রুটি থাকলে সেক্ষেত্রে বিল বেশি আসতে পারে এজন্য গ্রাহকদের সচেতন হতে হবে যেসব কারণে বিল বেশি আসার সম্ভাবনা থাকে, গাজীপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ এর কর্মকর্তাগণ গ্রাহকদের সে ব্যাপারে অবহিত করে থাকেন পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর (অব) জেনারেল মঈন উদ্দিন প্রত্যেকটি সমিতিকে এসব ব্যাপারে তীক্ষ্ণ নজরদারিতে রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন গ্রাহকরা এসব সমাধান করলে প্রকৃত বিলই আসবে বলে মনে করেন তারা