• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চাঁদা না দেয়ায় হামলা, নিরাপত্তা চাওয়ায় আবারো হামলা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০১৯  

গাজীপুরে নিরাপত্তা চেয়ে থানায় অভিযোগ করায় নারীসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নগরীর ১৬নং ওয়ার্ডের দীঘিরচালা উত্তর পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- দীঘিরচালা উত্তর পাড়া এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে মো. রাজ্জাক হোসেন, তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, একই এলাকার মনুরুদ্দিনের ছেলে আব্দুল কাদির। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

আহত রাজ্জাকের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম জানান, স্থানীয় নুরুল হকের ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী মো. ফারুক সরকার, মো. মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. জুয়েল রানা, হারেজ উদ্দিন উরফে আড়াইনার ছেলে আ. ছোবাহান, আব্দুলের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন, সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. সানী দীঘির চালা এলাকায় মাদক সেবন, ব্যবসা ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে। এ বিষয়ে তার বড় ভাই রাজ্জাক বিরোধিতা করেন।

এর আগে সন্ত্রাসীরা রাজ্জাকের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। অস্বীকৃতি জানান রাজ্জাক। এতে সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয়জন সন্ত্রাসীকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা করে। এসময় রাজ্জাক বাড়িতে না থাকায় তার স্ত্রী মনোয়ারা, ছেলে জাহিদ হাসান, ছেলের বউ শান্তাকে এলোপাথারি মারধর করে। পরে ঘরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এসময় আহতদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এলে সন্ত্রাসীরা পুনরায় সুযোগমত রাজ্জাককে খুন-জখম মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে চলে যায়।

নজরুল ইসলাম আরো জানান, পরে সোমবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন থানায় এ বিষয়ে রাজ্জাক একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে পুনরায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়িতে থাকা সবাইকে এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করে। আহতদের মধ্যে রাজ্জাক ও স্ত্রী গাজীপুর তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাপাতালে চিকিৎসাধীন এবং কাদিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ াসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এস এম মোকসেদ আলম বলেন, উল্লেখিতরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা এলাকায় মাদক ব্যবসা, সেবন, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতাদের ছত্রছায়ায় তারা এসব করে বেড়াচ্ছে। ওই সব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমার কাছে স্থানীয়রা অনেক অভিযোগ করেছে। আমি তাদের অনেক বার সর্তক করেছি কিন্তু তারা কাউকে তোয়াক্কা না করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা চান সাধারণ মানুষ।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসান থানার ওসি এসএম কাউছার চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।