• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

কী দোষ ছিল শিশুটির!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০১৯  

টাঙ্গাইলের সখীপুরে একটি চুরির মামলায় আটক হয়েছে ফরিদ উদ্দিন খান ও তার স্ত্রী নুর ভানু। আটক বাবা-মায়ের কোলে রয়েছে দুই বছর বয়সী শিশুকন্যা মারিয়া। বাবা-মায়ের অপরাধে নিষ্পাপ শিশুটিকেও থাকতে হচ্ছে থানা হাজতে। শিশু বয়সেই তাকে এমন পরিস্থিতে পরতে হচ্ছে নিরাপরাধ এই শিশুকে।

জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে সখীপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড এলাকা থেকে শিশু মারিয়ার বাবা মাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে শনিবার তাদের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়। তাদের সঙ্গে মারিয়াকেও আদালতে যেতে হয়। আদালত মারিয়ার বাবা-মাকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

পরে শিশু মারিয়াসহ তিনজনকে আবার সখীপুর থানাহাজতে ফেরত পাঠানো হয়। থানায় আনা, আদালতে হাজির, অতঃপর রিমাণ্ডের জন্য থানায় অবস্থানকালে শিশুটিকে বাবা-মায়ের সঙ্গেই ছিল। কী দোষ শিশু মারিয়ার!

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওয়াদুদ হোসেনের বাসায় কাজের বুয়া হিসেবে কাজ করতেন নুর ভানু। ওই বাসার আলমারির তালা ভেঙে নুর ভানু স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করেন। পরে চুরি করা জিনিসপত্র তার স্বামীর মাধ্যমে বিক্রি করেছেন বলে এ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই ওই মামলায় আসামী করেন বাদী ওয়াদুদ হোসেন।

এ ব্যাপারে সখীপুর থানার ওসি আমির হোসেন বলেন, ‘যেহেতু স্বামী-স্ত্রী দুজনেই এজাহারভুক্ত আসামি। তাদের শিশু সন্তান মারিয়া কিন্তু আসামি নন। আমরা আদালতকে আসামীদের দুগ্ধপোষ্য দুই বছরের একটি শিশু রয়েছে বলে অবগত করেছি।’

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানবীর আহাম্মেদ গতকাল মঙ্গলবার বলেন, চুরির মামলায় শনিবার উভয়কে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আদালত তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। পরে তাদের সখীপুর থানায় পাঠানো হয়। শিশুদের বিষয়টি আদালতে পাঠানোর সময় থানা থেকে উল্লেখ করা থাকে।