উপাচার্যের ঘোষণা কার্যকর না হলে কঠোর আন্দোলন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের দেয়া ঘোষণা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কার্যকর না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ক্যাম্পাসের পাঁচ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

শনিবার (২৯ জুন) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্কসবাদী) ও জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃবৃন্দরা এ কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গঠিত প্রস্তুতি কমিটির সহায়তায় নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি, গঠনতন্ত্র সংশোধন, ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা নির্ধারণ করে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করতে হবে।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘অতিশীঘ্রই উপাচার্যের ঘোষণা কার্যকর করার লক্ষ্যে উল্লিখিত উদ্যোগ গ্রহণ না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের ওপর বিশ্বাস হারিয়ে এই প্রশাসনকে প্রত্যাখ্যান করতে বাধ্য থাকবে।’

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দিদার বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের মতো কোনো প্রহসন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মঞ্চস্থ হতে দেয়া হবে না। তবে দীর্ঘ আন্দোলনের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ায় আমরা আশাবাদী।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক শাকিল উজ জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিন, আদিব মুনিম আরিফ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফন্ট (মার্কসবাদী) জাবি শাখার সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক দীপ্ত, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি শাখার সভাপতি নজির আমিন চৌধুরি জয়, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অনিক, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আশিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮তম সিনেট সভা শুরুর পূর্বে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্র নেতাদের আন্দোলনের মুখে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জাকসু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনের এবং নভেম্বরের দিকে নির্বাচন দেয়ার আশ্বাস দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।