• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

হাসি ফিরেছে কৃষকদের মুখে

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০১৯  

সবজির বাম্পার ফলনে খুশি মানিকগঞ্জের কৃষকরা। অনুকূল আবহাওয়া আর যথাযথ পরিচর্যার কারণেই সাফল্য এসছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চাষিরা। এ ছাড়া স্থানীয় পাইকারি বাজারে সবজির বেশ চাহিদা ভালো দাম পেয়ে হাসি ফিরেছে কৃষকদের মুখে।

জেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যসূত্র বলছে, চলতি মৌসুমে জেলায় চার হাজার ১৭৯ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। তবে মানিকগঞ্জ সদরের সৈয়দপুর, হিজলাইন, হরিরামপুর, সিংগাইর সাটুরিয়া উপজেলার জেলার বিভিন্ন এলাকায় সবজির আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ঢেঁড়স, ঝিঙ্গা, বরবটি, করলা, কাকরোল, বেগুন, কহি, জালি (চাল কুমড়া) অন্যান্য ফসল চাষ হয়েছে।

রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি পাইকারি বাজার থাকায় অঞ্চলের সবজির চাহিদা রয়েছে ব্যাপক।

জেলার সাটুরিয়া উপজেলার সবজি চাষি আনোয়ার হোসেন জানান, এক বিঘা জমিতে তৈরি থেকে ফলন আসা পর্যন্ত কহি (স্থানীয়ভাবে সিরিআনাজ হিসেবে পরিচিত) চাষে খরচ হয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা। বাজারে কহির চাহিদা দাম ভালো হওয়ায় এক বিঘা জমি থেকে প্রায় লাখ টাকার কহি বিক্রি করা সম্ভব।

একই এলাকার সবজি চাষি বাচ্চু মিয়া বলেন, দুই বিঘা জমিতে ঢেঁড়স আবাদ করেছি। এতে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। পর্যন্ত সবজি বিক্রি হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। বাজার-দর ভালো থাকলে আরো প্রায় ৬০ হাজার টাকার ঢেঁড়স বিক্রি করা যাবে।

সিংগাইর উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের হজরত আলী জানান, তিনি ৭০ শতাংশ জমিতে লাউ চাষের সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে পুইশাক, কড়লাসহ বিভিন্ন সবজির চাষ করেছিলেন। খরচ হয়েছিল ২০ হাজার টাকা। প্রায় এক লাখ টাকার সবজি বিক্রি করেছেন তিনি। এতে খরচ বাদে ৮০ হাজার টাকা লাভ হয়।

জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, রবি মৌসুমে জেলায় নয় হাজার  ৬শহেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছিল। আর চলতি মৌসুমে চার হাজার ১৭৯ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন রকমের সবজির আবাদ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে বছর মানিকগঞ্জে সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। তাছাড়া দাম ভালো থাকায় সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।