• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সরিষার বাম্পার ফলনে লাভবান মানিকগঞ্জের চাষিরা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

অল্প শ্রম আর স্বল্প খরচে অধিক মুনাফা হওয়ায় দিন দিন সরিষার আবাদ বাড়ছে মানিকগঞ্জে। অনুকূল আবহাওয়া এবং সঠিক পরিচর্যায় সরিষার ফলনও হয়েছে ভালো। অল্প সময়ে সরিষার বাম্পার ফলনে চলতি মৌসুমে বেশ লাভবান মানিকগঞ্জের সরিষা চাষিরা।

জেলার সাতটি উপজেলার প্রতিটিতেই কমবেশি আবাদ হয়েছে সরিষার। তবে জেলার ঘিওর, দৌলতপুর, সিংগাইর, সাটুরিয়া ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় সরিষার আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। অনুকূল আবহাওয়ায় সরিষার ফলন ঘরে তুলে ধান চাষের জন্য জমি তৈরি করতে ব্যস্ত এখন এসব এলাকার চাষিরা।

জেলা কৃষি অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে পুরো জেলায় প্রায় ৩৬ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে সরিষার। গত মৌসুমে সরিষা আবাদের পরিমাণ ছিলো ৩৫ হাজার ৬৭৪ হেক্টর জমিতে। কৃষকের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন জাতের সরিষার আবাদ হলেও টরি ৭, বারি ১৪, বীনা ৯ এবং বীনা ১৪ জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

মানিকগঞ্জের লওখন্ডা এলাকার কৃষক ইমরুল মিয়া জানান, জমি তৈরি করা থেকে ফলন ঘরে তোলা পর্যন্ত তিন বিঘা জমিতে সরিষা আবাদে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। এসব জমি থেকে প্রায় ১৪ মণ সরিষার ফলন পেয়েছেন তিনি। তবে বাজারদর বেশি পাওয়ার আশায় এখনো সরিষা বিক্রি করেননি বলেও জানান তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একই এলাকার জমি থেকে সরিষা সংগ্রহে ব্যস্ত এক নারী জানান, অন্যান্য ফসলের মতো সরিষা আবাদে তেমন শ্রমের প্রয়োজন হয় না। জমি থেকে পাকা সরিষা সংগ্রহ ও মাড়াই করে ফসল ঘরে তোলার জন্য পরিবারের পুরুষ সদস্যের পাশাপাশি তাই তিনি নিজেও নিয়মিতভাবে কাজ করেন বলে জানান।

সাটুরিয়া উপজেলার কৃষক আব্দুর রহমান জানান, অল্প খরচ ও সল্প সময়ে সরিষার ফলন ঘরে তোলা যায়। ঝড় বৃষ্টি না হওয়ায় চলতি মৌসুমে সরিষার ফলনও হয়েছে বেশ। সরিষার বর্তমান বাজারদর ১৮শ’ থেকে ২ হাজার টাকা। তবে রোদে শুকিয়ে গুদামজাত করে পরে বিক্রি করলে সরিষার বাজারদর আরও বেশি পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জেলা কৃষি অধিদফতরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গ্যানেশ চন্দ্র রায় জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভালো থাকায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে মানিকগঞ্জে। বিঘা প্রতি মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা খরচ করে ৫ থেকে ৬ মণ করে সরিষার ফলন পাচ্ছেন চাষিরা। এতে করে অল্প খরচে বেশ লাভবান হয়েছেন জেলার বিভিন্ন উপজেলার সরিষা চাষিরা।