• সোমবার ১৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩০ ১৪৩১

  • || ০৪ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আপন নীড় তৈরিতে উন্নয়ন

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০১৮  

বিশ্বের প্রথম সারির ঘনবসতিপূর্ণ শহরের তালিকায় রয়েছে আমাদের  ঢাকা নাম। প্রতিদিন কাজের তাগিদে, পরিবারের মুখে একটু হাসি ফুটানোর জন্য, ভাগ্য বদলের জন্য পাড়ি জমায় শহরে। অচেনা এই শহরকে করে নিতে হয় আপন করে। শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতে কাজ করে বিভিন্ন রকম মানুষ। তারা তাদের মেধা ও শ্রম দিয়ে কাজ করে সচল রেখেছে দেশের অর্থনৈতিক চাকা। এর বিনিময়ে তারা পাচ্ছে কিছু সম্মানী আর এ নিয়েই খুশি হচ্ছে তাদের পরিবার। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুযায়ী দেখা যায় একজন সাধারণ মানুষের মাসিক আয়ের সিংহ ভাগ চলে যাচ্ছে তাদের বাসা ভাড়া বাবদ খরচে। এজন্য অনেকের পুরো মাস চালাতে হিমশিম খেতে হয়। দেশের সাধারণ জনগণকে এরকম মানবিক সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য পাশে এসে দাঁড়িয়েছে দেশের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

সরকারি কর্মচারীদের জন্য আবাসন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে তাদের জন্য গৃহায়নের খাত বাড়ানো হয়েছে। আগে এই আবাসনের পরিমাণ ছিল আট শতাংশ, বর্তমানে ২৫ শতাংশ এবং ২০২০ সালের ভেতর এর পরিমাণ ৪০ শতাংশতে উন্নীত করা হবে। এই লক্ষ্যে ২০১৮ সালে আজিমপুর ও মতিঝিল সরকারি কলোনীতে ৪টি ২০ তলা ভবনে মোট ৫৩২টি এবং আজিমপুরে ৬টি ২০ তলা ভবনে মোট ৪৫৬টি । গৃহায়নের এই কার্যক্রম ঢাকার পর দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলাতেও বাস্তবায়ন করা হবে। নির্মাণ করা এক হাজারটি ফ্ল্যাট ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

রাজউকের নিজস্ব অর্থায়নে স্বল্প ও মধ্য আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য আবাসন সমস্যা সমাধান করার লক্ষে ২০১৬ সালে শুরু হওয়া উত্তরা তৃতীয় পর্ব, পূর্বাচল নতুন শহর এবং ঝিলমিল প্রকল্পে বরাদ্দ গ্রহীতাদের মধ্যে প্রায় ২২ হাজার প্লট হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব ভবন নির্মাণ করার জন্য পরিবেশবান্ধব, নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্তভাবে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড মেনে করা হয়েছে।

বর্তমানে হাউজিং বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট কর্তৃক পরিবেশবান্ধব, নিরাপদ ও উন্নত প্রযুক্তিতে গ্রামীণ গৃহায়নে ফোরোসিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। ইটের বিকল্প উদ্ভাবন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি নির্মাণে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। দেশের আটটি বিভাগের ৩৩টি জেলায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য ২০ হাজার দুই রুমের ফ্লাট নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ১৫ হাজার নিম্ন আয়ের পরিবারকে কমিউনিটি হাউসিং ডেভেলপমেন্ট ফান্ড গঠন করে বিনা সুদে দীর্ঘ মেয়াদি গৃহায়ন ঋণ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও শহরের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্যও করা হয়েছে আবাসন ব্যবস্থা।

একটি ছোট পাখি যেমন দিন শেষে বিভিন্ন জায়গা উড়ে ঘুরে যেমন নিজ নীড়ে ফিরে আসে, তেমনি মানুষও সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর ফিরে আসে তার আপন নীড়ে তার প্রিয়জনদের কাছে। এই ফিরে আসাকে আরেকটু স্বস্তি দিতেই কাজ করে যাচ্ছে দেশের গৃহায়ন ও গণপূর্ত বিভাগ। আপন নীড়ে যাতে সবাই স্বস্তিতে থাকে দেশের প্রতিটি মানুষ এ রকমটাই প্রত্যাশা করছে সংশ্লিষ্ট সকলে।