• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ভেজালবিরোধী অভিযানে জনমনে স্বস্তি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০১৯  

খাদ্যে ভেজাল রোধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার।  প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালানো হচ্ছে।  জব্দ হচ্ছে ভেজাল পণ্য।  জরিমানা করা হচ্ছে প্রতিষ্ঠান ও দায়ী ব্যক্তিদের।  ফলে অস্থিতিশীল ভেজালযুক্ত খাদ্য নিয়ে বিপাকে পড়ে আছে প্রতিষ্ঠানগুলো।  সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপের ফলে জনমনে খাদ্যের মান নিয়ে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।

ভেজাল, নকল ও নিম্নমানের নানা পণ্যে ছেয়ে গেছে দেশ।  শিশুর গুড়ো দুধ থেকে বৃদ্ধের ইনসুলিন, রূপচর্চার কসমেটিক থেকে শক্তি বর্ধক ভিটামিন, এমন কি বেঁচে থাকার অপরিহার্য উপাদান পানি এবং জীবন রক্ষাকারী ওষুধ পর্যন্ত এখন ভেজালে ভরপুর।  এ থেকে নিরাপদ নয় কেউই।  মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে খাদ্য একটি প্রধান ও অন্যতম চাহিদা।  জীবন ধারণের জন্য খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই।  সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিটি মানুষের প্রয়োজন বিশুদ্ধ ও পুষ্টিকর খাদ্য।  আর এ বিশুদ্ধ খাদ্য সুস্থ ও সমৃদ্ধশালী জাতি গঠনে একান্ত অপরিহার্য।  কিন্তু বাংলাদেশে বিশুদ্ধ খাবার প্রাপ্তি কঠিন করে ফেলেছে বিবেকহীন ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা।  বিবেকবর্জিত এসব ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের রুখতে এবং জীবন নিরাপদ করতে বর্তমান সরকার হার্ড লাইনে অবস্থান নিয়েছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত সারা দেশে অভিযান চালিয়ে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।  এর ফলে খাদ্যে ভেজাল দেয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে এসেছে।  এ অভিযান অব্যাহত রাখা হবে, এর ফলে ভেজালের দৌরাত্ম্য ক্রমেই কমে আসবে।  এরইমধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই ভেজালের প্রবণতা কমে এসেছে।  এতে জনমনেও স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।

এ বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকারের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।  যদি ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখা যায় তবে অসাধু ব্যবসায়ীদের পরাজয় নিশ্চিত।  প্রতিনিয়ত যেভাবে দায়ী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হচ্ছে তাতে তাদের দৌরাত্ম্য কমে আসবে বলেও মনে করেন তারা।

এ প্রসঙ্গে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের এক খাবার হোটেলের মালিক সোবাহান মণ্ডল বলেন, অনেক ব্যবসায়ীই আছেন যারা অধিক মুনাফার লোভে খাদ্যে ভেজাল দিয়ে থাকেন।  তারা আসলে মানবিকতার বাইরে চলে গেছে।  এই অবস্থায় যদি সরকার ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখে তবে তা অবশ্যই কাজে দেবে।  আমরাও সচেতন থাকতে পারবো।  ক্রেতারাও নিশ্চিন্তে ভেজালমুক্ত খাদ্য কিনতে পারবে।  সরকারের এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।