• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

‘বহুমুখী পাট পণ্যের নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে’

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০১৯  

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, দেশে পাট ও পাটজাত পণ্যের স্থানীয় বাজার আরো সম্প্রসারণ করতে হবে। এজন্য বহুমুখী পাট পণ্যের নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে। আগ্রহী নতুন উদ্যোক্তাদের নরসিংদী পাটকল, বিসিক শিল্পনগরীসহ অন্যান্য স্থানে প্রয়োজনে প্লট প্রদান করা হবে।

বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে করিম চেম্বারে জুট ডাইভার্সিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) উদ্যোগে পাঁচ দিনের বহুমুখী পাটপণ্য মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এমপি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে জেডিপিসি-এর নির্বাহী পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব রীনা পারভীন, ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেডের সত্ত্বাধিকারী রাশেদুল করিম মুন্না প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের কর্মহীন করা হবে না। তারা রাস্তায় বের হয়ে জনগণের ভোগান্তির কারণ হবেন না। নিজেদের ও জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবেন।

নূরুল মজিদ বলেন, দেশে পাটপণ্যের বাজার সম্প্রসারণে শুধু নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট স্থানে নয়, পাটপণ্যের মেলা বছর জুড়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে স্থায়ীভাবে আয়োজন করতে হবে। সেই সঙ্গে ঢাকার বাইরে সব জেলাতেও নিয়মিত মেলার আয়োজন করতে হবে। পাটপণ্যের মূল্য যাতে সাধারণ জনগণের সাধ্যের মধ্যে থাকে সে বিষয়ে সজাগ থাকার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য প্রস্তাব নিয়ে প্রতিদিন আসছেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে স্থানীয় উদ্যোক্তাদেরও বিনিয়োগের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে, নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার হার প্রশংসনীয়। সরকার চায় আরো অধিক সংখ্যক নারী উদ্যোক্তা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখুক। এজন্য তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বলেন, এদেশের ১৬ কোটি মানুষের কাছে পাটপণ্য পৌঁছে দিতে হবে। ভারতে উৎপাদিত পাটের ৮০ ভাগ স্থানীয়ভাবে ব্যবহার হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের পাটপণ্যের উদ্যোক্তাদের বিদেশে রফতানির আগে দেশীয় বাজারের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। আর্থিক সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পেলে বিদেশে রফতানির সুযোগ সৃষ্টি হবে। 

তিনি বলেন, ক্ষতিকর পলিথিনের পরিবেশবান্ধব বিকল্প হিসেবে প্রতিদিন ১ লাখ পিস পাটের তৈরি ‘সোনালী ব্যাগ’ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই পাটের ব্যাগ বাজারে একটি শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, পাটের শুধু আঁশ নয়, পাটকাঠিও একটি সম্ভাবনাময় পণ্য। পাটকাঠি থেকে কয়লা উৎপাদন করে তা বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে। 

উন্নত বিশ্বে পাটপাতার বিশাল চাহিদার কথা উল্লেখ করে বস্ত্র মন্ত্রী বলেন, গতবছর আড়াই টন পাট পাতা জার্মানিতে রফতানি করা হয়েছে। এবছর পাঁচ টন পাটপাতা রফতানি করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

পরে শিল্পমন্ত্রী এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী পাঁচ দিনের বহুমুখী পাটপণ্য মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব, জেডিপিসি নির্বাহী পরিচালক প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।