• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সমতাভিত্তিক বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার আহ্বান স্পিকারের

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০১৯  

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জনগণের অধিকার সুরক্ষায় বিশ্বের সব রাজনীতিবিদদের একই ভাষায় সোচ্চার হতে হবে। যে রাজনীতির অভিন্ন রূপ হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমতা ও শান্তির ভিত্তিতে কল্যাণময় বিশ্ব প্রতিষ্ঠা করা।

এসময় তিনি সংসদীয় কূটনীতির মাধ্যমে সমতাভিত্তিক বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় এমপিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।  

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাশিয়ার মস্কোয় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে দ্য স্টেট দুমা অব দ্য ফেডারেল অ্যাসেম্বলি অব দ্য রাশিয়ান ফেডারেশন আয়োজিত দ্য সেকেন্ড ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ‘ডেভেলপমেন্ট অব পার্লামেন্টারিজম ২০১৯’ এর দুদিনের কনফারেন্সে ‘ইন্টার-পার্লামেন্টারি কো-অপারেশন:প্রিন্সিপালস, ট্রেন্ডস অ্যান্ড ইনস্টিটিউট’ বিষয়ক সেশনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অর্থনীতি, কারিগরী ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক পরিবর্তন লক্ষণীয়। বৈশ্বিক পরিবর্তনের ধারায় ইতিবাচক ফলাফল আনয়নে সব এমপিদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দারিদ্রতা দূরীকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা, শরণার্থী, অভিবাসন সমস্যা ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা সমস্যা পৃথক পৃথক রাষ্ট্রীয় সীমারেখায় আবদ্ধ। এসব সমস্যা সমাধানে সংসদীয় কূটনীতি একটি শক্তিশালী মাধ্যম বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, সংসদীয় কূটনীতির মাধ্যমে আন্তঃসংসদীয় ফোরামে জটিল সমস্যাসমূহ আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে। এক্ষেত্রে সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহনশীলতার মাধ্যমে দায়িত্বশীল ও শক্তিশালী সংসদ গড়ে তোলা সম্ভব। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভের পরপরই বাংলাদেশ আইপিইউ, সিপিএ, পিইউআইসিসহ আন্তঃসংসদীয় বিভিন্ন ফোরামের সদস্য হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।

তিনি আরো বলেন, সমতাভিত্তিক অন্তর্ভূক্তিমূলক সমাজ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংসদীয় গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো দারিদ্রমুক্ত রাষ্ট্র বিনির্মাণ যেখানে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত থাকে।

সেশনে মরক্কো, কোরিয়া, ইরানসহ অন্যান্য দেশের পার্লামেন্টের স্পিকাররা বক্তব্য রাখেন।