নৌবাহিনীর এন্ট্রি অফিসারদের সমাপনী কুজকাওয়াজ

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার (ডিইও) ২০১৯/এ ব্যাচের নবীন কর্মকর্তাদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে এই অনুষ্ঠান হয়। চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল এম আবু আশরাফ প্রধান অতিথি হিসেবে বর্ণাঢ্য এই কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) থেকে সহকারী পরিচালাক রাশেদুল আলম খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

স্বল্প মেয়াদী প্রশিক্ষণ শেষে এ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২০১৯/এ ব্যাচের ১৩ জন ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার র‌্যাংক ব্যাজ পরিধান করেন। ছয় মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণে এ ব্যাচের কর্মকর্তা এ্যাক্টিং সাব লেফটেন্যান্ট উমায়ের আলম শ্রেষ্ঠ ও চৌকস ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার হিসেবে ‘বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন’ স্বর্ণপদক লাভ করেন। 

মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ শেষে প্রধান অতিথি তার ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। এছাড়া তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী সব বীর নৌসেনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি আধুনিক ও শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। সে প্রত্যয়ের আলোকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নৌবাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহ ও বিদ্যমান জাহাজগুলোর অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাস্তবমূখী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। 

প্রধান অতিথি নবীন কর্মকর্তাদের নেভাল একাডেমি থেকে অর্জিত জ্ঞানকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে নিজেদের যোগ্য কর্মকর্তা হিসেবে গড়ে তোলার আহবান জানান। তিনি আধুনিক এ প্রশিক্ষণ সুবিধাকে সার্বিকভাবে ব্যবহার করে দেশের সমুদ্রসীমার স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় আত্মনিয়োগ করার পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা ও অগ্রগতির পথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন। দেশ সেবায় এ পবিত্র দায়িত্ব বেছে নেয়ায় নবীন কর্মকর্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদও জানান।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডাররাসহ উর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও শিক্ষা সমাপনী ব্যাচের কর্মকর্তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।