• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চারদিনের রিমান্ডে ক্যাসিনো সেলিম

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০১৯  

মাদকের মামলায় অনলাইন ক্যাসিনোর মূলহোতা সেলিম প্রধান ও তার দুই সহযোগীর চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এ আদেশ দেন।

অন্য আসামিরা হলেন- আখতারুজ্জামান ও রোমান।

এদিন সকালে গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম আসামি সেলিম প্রধানসহ তিনজনকে আদালতে হাজির করেন। একইসঙ্গে তিনি গ্রেফতারের আবেদনসহ সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিচারক ধীমান চন্দ্র মণ্ডল গ্রেফতারের আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর রিমান্ডের শুনানি শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান রিমান্ডের জোর দাবি জানান। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যককে চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার জিআর শাখার পুলিশ কনস্টেবল ময়েজ আহমেদ এ তথ্য জানান।

এর আগে, বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডলের আদালতে তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন ও সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন গুলশান থানার ওসি আমিনুল ইসলাম। আসামিরা কারাগারে আটক থাকায় আদালত শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে গুলশান থানার মানিলন্ডারিং ও মাদক আইনের মামলার এজহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

বুধবার সকালে অনলাইন ক্যাসিনোর মূলহোতা সেলিম প্রধানসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অর্থ পাচার আইনে মামলা দায়ের করে র‍্যাব। এছাড়া সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরো একটি মামলা করেছে র‍্যাব।

এছাড়াও মঙ্গলবার অফিসে দুটি হরিণের চামড়া রাখার অপরাধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সেলিম প্রধানকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এর আগে, সোমবার দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট থেকে ক্যাসিনো সেলিমকে আটক করে র‍্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে নিয়ে গুলশান-২ এ তার বাসা কাম অফিস ‘মমতাজ ভিশনে’ অভিযান চালায় র‍্যাব। এরপর বনানীর আরেকটি অফিসে অভিযান চালানো হয়। দুই জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৪৮টি বিদেশি মদের বোতল, ২৯ লাখ ৫ হাজার ৫০০ নগদ টাকা, ২৩টি দেশের বৈদেশিক মুদ্রা (যার মূল্য ৭৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকা), ১২টি পাসপোর্ট, ১২টি ব্যাংকের ৩২টি চেকবই, একটি বড় সার্ভার, চারটি ল্যাপটপ এবং দুটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়।