• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম রেলের ৭৭০১ একর সম্পতি দেখভালে মাত্র ১১জন

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০১৯  

বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম ডিভিশনের ৭৭০১ একর ভূসম্পতি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন মাত্র ১১জন কর্মচারী ও কর্মকর্তা। এর মধ্যে ৬জন কর্মচারীকে গত ছয়মাস আগে অন্যস্থান থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়েছে।

রেলওয়ে পর্বাঞ্চল থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত রেলওয়ে চট্টগ্রাম ডিভিশনের মোট ভূসম্পত্তি রয়েছে সাত হাজার সাতশ এক একর। এর মধ্যে ২১৫.১৮ একর জমি বেদখল।

অনুসন্ধানে যানা যায়, রেলওয়ে চট্টগ্রাম ডিভিশনের ৭৭০১ একর জমির মধ্যে ট্রেন চলাচল কাজে ব্যবহার হয় ৪৩৯৬ একর জমি। বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে লিজ দেয়া কৃষি জমির পরিমান ১৩৮৬ একর আর বানিজ্যক ভাবে লিজের পরিমাণ ৩৬.৭৯ একর। এছাড়া মৎস চাষের জন্য লিজ দেয়া হয়েছে ২০১.২৯ একর এবং নার্সারি কাজের জন্য লিজ দেয়া জমির পরিমান ০.২২ একর।

রেলওয়ে চট্টগ্রাম ডিভিশনের ৭৭০১ একর ভূসম্পত্তির মধ্যে বেদখল হওয়া জমির পরিমাণ ২১৫.১৮। এর মধ্যে বিভিন্ন সরকারি কার্যালয় অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে ৮৭.৫০ একর জমি। বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ২৭০৫ একর এবং ব্যক্তি পর্যায়ে ১০০.১৮ একর জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে।   
 


রেলওয়ে চট্টগ্রাম ডিভিশনের বিপুল পরিমান ভূসম্পত্তি বেদখল হয়ে যাওয়ার পিছনে লোকবলের অভাবকে দায়ী করছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কর্মচারীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, দীর্ঘ দিন থেকে পর্যাপ্ত লোকবলের অভাবে রেলওয়ের ভূসম্পত্তি বিভাগটি ধুঁকে ধুঁকে চলছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম ডিভিশনের ভূসম্পত্তি কার্যালয়ে কর্মরত আছেন মাত্র ১১জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী। এর মধ্যে রয়েছে লাকসাম, কুমিল্লা, ফেনী কাচারিতে কানুনগো ১জন, চেইনম্যান ৩জন। সদর কাচারীতে কানুনগো ১জন, চেইনম্যান ১জন ও আমিন ৩জন। ষোলশহর কাচারীতে আমিন একজন ও কানুনগো ১জন। আর তাদের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন একজন বিভাগীয় উপ ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা।

 এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রাম বিভাগের উপ বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুব উল করিম জানান, অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। লোকবলের অভাব আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, যা আছে তাই দিয়ে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে।