• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নৃশংস তুহিন হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চান মা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯  

জবাই করে হত্যার পর লিঙ্গ ও দুটি কান কেটে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয় সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের শিশু তুহিনকে। নৃশংসভাবে ছেলেকে হত্যার পর পাগলপ্রায় তার মা। সন্তান হারানোর শোকে তিনি বিহ্বল। সেই শোকের মাঝে ছেলে হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাইলেন।

মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জকিনগর গ্রামে বাবার বাড়ি চলে যান তুহিনের মা মনিরা বেগম। সেখানে ছেলে হারানো মাকে সান্ত্বনা দেয়ার মতো কোনো ভাষা খুঁজে পেলাম না। কিন্তু কান্না ও মূর্ছা যাওয়ার মাঝে মাঝে তুহিনের মায়ের সঙ্গে কথা হয়। 

তিনি বলেন, তুহিন তার বাবার পাশেই ঘুমাতো। তার বাবা ছেলে হত্যার সঙ্গে জড়িত। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। ১৬ দিন আগে আমার এক মেয়ে জন্ম নিয়েছে। আমি এখনো অসুস্থ।
 
তিনি আরো বলেন, রোববার রাতে খাবার শেষে বাবার পাশে ঘুমায় শিশু তুহিন। শেষ রাতে তুহিনের চাচাতো বোন তানিয়া বেগম ঘরের দরজা খোলা দেখতে পায়। সে ঘরে ঢুকে তুহিনকে দেখতে পায়নি। নিষ্পাপ তুহিনকে যারা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকারের কাছে দাবি জানাই।

নিহত তুহিনের মামা শামসুজ্জামান বলেন, নিষ্পাপ ভাগিনাকে হারিয়ে বোন এখন অসহায়। যারা তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের যেন ফাঁসি হয়। 

সোমবার ভোরে সুনাগঞ্জের দিরাইয়ের রাজানগর ইউপির কেজাউড়া গ্রামের একটি গাছে শিশু তুহিনের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। ওই সময় তার পেটের মধ্যে দুটি ছুরি ঢোকানো, ডান হাতটি গলার সঙ্গে থাকা রশির ভেতরে ঢোকানো, বাম হাতটি মরদেহের সঙ্গে ঝুলে ছিল। এছাড়া মরদেহ থেকে লিঙ্গ ও দুটি কান কেটে নেয়া হয়। আর তার পুরো শরীর রক্তে ভেজা ছিল। খবর পেয়ে ওই দিন দুপুরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তের পর রাতেই তাকে দাফন সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনায় নিহত তুহিনের মা মনিরা বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার ১০জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। মঙ্গলবার বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যামকান্ত সিনহার কাছে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে শুনানি শেষে বিচারক তুহিনের বাবা ও দুই চাচাকে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

রিমান্ডের আসামিরা হলেন-তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুর মুছাব্বির ও জমশেদ আলী।